Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঝাঁপ বন্ধের নোটিস বার্ন স্ট্যান্ডার্ডে

গত ৪ এপ্রিল সংস্থা গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দেয় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। কিন্তু সরকারি ভাবে শ্রমিক-কর্মীদের তেমন কিছু এত দিন জানানো হয়নি।

বার্নপুরের বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানা। নিজস্ব চিত্র

বার্নপুরের বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ০১:১০
Share: Save:

শেষমেশ পড়েই গেল নোটিস। কারখানা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হল বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানায়। বুধবার বার্নপুরে ওই নোটিসের খবর পেয়ে কারখানার গেটে জটলা করেন শ্রমিক-কর্মীরা। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারের দফতরের সামনেও ভিড় করেন অনেক।

গত ৪ এপ্রিল সংস্থা গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দেয় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। কিন্তু সরকারি ভাবে শ্রমিক-কর্মীদের তেমন কিছু এত দিন জানানো হয়নি। এই ক’দিন তাঁরা নিয়মমাফিক কারখানায় এসেছেন। ওয়াগন তৈরির কাজও করেছেন। বুধবার শ্রমিক-কর্মীদের অনেকেই কারখানায় ঢুকে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কর্তৃপক্ষের তরফে কারখানার গেটে সংস্থায় ঝাঁপ ফেলার বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

সংস্থার সিএমডি মহম্মদ আসাদ আলমের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকার সংস্থা গোটানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি দেখার পরেই শ্রমিক-কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁরা সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার আরতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে ভিড় করে জানতে চান, গত ১৫ দিন ধরে যে কাজ করেছেন তার বেতন কী ভাবে মিলবে। যদিও কর্তৃপক্ষ কিছুই জানাতে পারেননি বলে কর্মীরা জানান।

কারখানায় নোটিস। নিজস্ব চিত্র

কারখানা বাঁচাতে আর কোনও আন্দোলন যে কাজে আসবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সংস্থার শ্রমিক নেতারা। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারির পরে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ‘বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বাঁচাও কমিটি’র আহ্বায়ক অনিল সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত বদল করার আর কোনও উপায় নেই আমাদের।’’ আইএনটিটিইউসি নেতা বিনয় সিংহের বক্তব্য, ‘‘এই অবস্থায় এখন পাওনাগণ্ডা নিয়ে সরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও গতি নেই।’’

আইএনটিইউসি নেতা হরজিৎ সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘সংস্থার কর্মীরা চাইলে আমরা এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’ সিটু নেতা বংশোগোপাল চৌধুরীর দাবি, সংস্থার ঝাঁপ পুরোপুরি বন্ধ করতে দেওয়া হবে না। এখানে বিকল্প উপায়ে উৎপাদন চালানোর জন্য তাঁরা আন্দোলন শুরু করবেন। সংস্থার স্থায়ী শ্রমিক-কর্মীদের অনেকেই অবশ্য জানান, প্রাপ্য বুঝে নিয়ে অবসর নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE