আহত স্বপনবাবু। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির সামনে প্রায়শই রাতে মদের আসর বসায় কিছু যুবক। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। সে জন্য তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে ওই যুবকেরা— অভিযোগ করলেন পানাগড়ের প্রবীণ ব্যবসায়ী স্বপনকুমার মণ্ডল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পানাগড় বাজারে স্বপনবাবুর বাড়ি। তিনি অভিযোগ করেন, বাড়ির সামনে প্রায় প্রতি রাতেই কিছু মদ্যপ জড়ো হয়। বারবার বারণ করেও ফল হয়নি। উল্টে, বাড়ির দরজার সামনে গাড়ি রেখে দেওয়া, প্রস্রাব করা-সহ নানা উপায়ে বিব্রত করে ওই যুবকেরা। মঙ্গলবার রাতে ফের সেখানে মদ্যপানের আসর বসায় তারা। দরজার সামনে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে বাড়িতে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
স্বপনবাবু অভিযোগ করেন, তিনি দরজা খুলে বেরিয়ে প্রতিবাদ করেন। তখনই ওই যুবকেরা তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। তাঁর বাঁ চোখের উপরের অংশ কেটে যায়। ছেলে চন্দন ও ভাই সুকুমারবাবু বেরিয়ে এলে ওই যুবকেরা গালিগালাজ করে পালিয়ে যায়। চন্দনের অভিযোগ, ‘‘ওই ছেলেগুলি এলাকারই বাসিন্দা। প্রতি রাতেই আমাদের বাড়ির সামনে এ ভাবে মদ-জুয়ার ঠেক বসায়। প্রতিবাদ করলেই গালিগালাজ করে, নানা ভাবে বিরক্ত করে। এ বার বাবাকে মারধরও করল।’’ সুকুমারবাবু বলেন, ‘‘আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন-দিন এলাকায় মদ্যপদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে এলাকায়। রাতে পাড়ায়-পাড়ায় মদের আসর বসছে। বিভিন্ন জায়গায় মদের বোতল পড়ে থাকছে। বেশ কিছু জায়গায় জুয়ার ঠেকও বসছে। ফলে, অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। প্রবীণ বাসিন্দা ইন্দ্রকুমার মেহেরার অভিযোগ, ‘‘আবগারি দফতরের তরফে কোনও পদক্ষেপ না করায় দিন-দিন মদ্যপদের উপদ্রব বেড়ে চলেছে। দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’ তাঁদের আরও অভিযোগ, গভীর রাতে মদ্যপ যুবকেরা বাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ, মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি করে।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনার পরে স্বপনবাবুকে কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতেই কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জেরা করে কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy