অনুমতি ছাড়া পুকুর সংস্কারের কাজ করায় বর্ধমান পুরসভাকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাই কোর্ট। এই ঘটনায় বর্ধমান থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
অভিযোগ, বর্ধমান শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে খোসবাগানের ফৌজদারি কালীমন্দির লাগোয়া একটি পুকুর পুরসভা সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করছিল সেটির মালিকের অনুমতি ছাড়াই। পুকুরের মালিক পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও ফল না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হনবলে তাঁর আইনজীবী উত্তীয় রায়ের দাবি। তিনি জানান, বেআইনি ভাবে পুকুর সংস্কার করছিল পুরসভা। সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘জেলা পুলিশকে বর্ধমানের আইসি-র কাজকর্মের উপরে নজর রাখতেবলা হয়েছে। কোনও কিছু নজরে পড়লে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারে জেলা পুলিশ।’’
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুকুরটির সৌন্দর্যায়ন ও সংস্কারের কাজ মার্চে শুরু হয়েছিল। পুকুরের জল সেচে যন্ত্র নামানোহয়। তিন দিকের পাড় কংক্রিটে বাঁধানোর কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুকুর সংস্কারের জন্য মালিকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুকুরটি সংস্কারে পাড়ের কয়েকটি গাছ কেটে ফেলাহয়। পুকুরের মালিক সংস্কার নিয়ে আপত্তি জানান।
আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মালিকের অনুমতি ছাড়াই পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করার জন্য পুরসভাকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করেছে হাই কোর্ট। নির্দেশের ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই টাকা পুকুরের মালিককে দিতে বলা হয়েছে। সৌন্দর্যায়নের কাজ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশওদেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদেরদাবি, রায় দেওয়ার আগে আদালত থানা ও পুরসভার কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল। পুরসভা সংস্কারের কথা জানালেও, পুলিশের তরফে নির্মাণ হচ্ছে বলে জানানো হয়। থানার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট হয়নি বলে দাবি আইনজীবীদের।
বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশ সরকার বলেন, ‘‘হাই কোর্টর নির্দেশে ফৌজদারি কালীমন্দির লাগোয়া পুকুরটির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। মালিকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, আলোচনায় জট কাটিয়ে ফের কাজ শুরু করা যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)