E-Paper

অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে ফের উচ্ছেদ অভিযান চিত্তরঞ্জনে

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় লাগোয়া এলাকাতেও অনেক অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নির্মাণগুলির সঙ্গে সংস্থার শ্রমিক-কর্মীদের কোনও সম্পর্ক নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪ ০৮:৫৫
চিত্তরঞ্জনে উচ্ছেদ অভিযান। নিজস্ব চিত্র

চিত্তরঞ্জনে উচ্ছেদ অভিযান। নিজস্ব চিত্র

রেল শহরের আনাচে কানাচে গজিয়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ অভিযানে নামলেন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস কারখানা (সিএলডব্লিউ) কর্তৃপক্ষ। সিএলডব্লিউ সূত্রে জানা যায়, বুধবার প্রায় ৫০টি এমন নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়। আগামী দিনেও এই অভিযান চলবে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

সিএলডব্লিউ সূত্রে জানা যায়, চিত্তরঞ্জনের সিমজুড়ি এলাকায় এ দিন অভিযান চলেছে। এখানে বেশ কিছু অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। এগুলির কোনওটি দোকানঘর, কোনওটি গুমটি। আবার কোথাও বাঁশ দিয়ে জায়গা ঘিরে অস্থায়ী ছাউনি তোলা হয়েছে। অধিকাংশই বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তবে সন্ধ্যার পরে এ সব এলাকায় বহিরাগত কিছু লোকের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। অবৈধ কারবারও চলে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থানীয়েরা তাঁদের কাছে বেশ কয়েক বার অভিযোগ করেছেন। এর পরে এই সব নির্মাণ সরিয়ে নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে কয়েক মাস আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, কিন্তু সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়নি। ১৬ জুন চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বুধবার সকালে আরপিএফকে সঙ্গে নিয়ে বুলডোজ়ার দিয়ে অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় লাগোয়া এলাকাতেও অনেক অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নির্মাণগুলির সঙ্গে সংস্থার শ্রমিক-কর্মীদের কোনও সম্পর্ক নেই। বহিরাগতরা জায়গা দখল করে নির্মাণ তুলে বসবাস করছেন। তাঁদের উঠে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। উঠে না গেলে সেগুলিও ভেঙে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

চিত্তরঞ্জন শহরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে। এর আগে প্রায় তিন বার অভিযান চালিয়ে শতাধিক নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এগুলির মধ্যে একাধিক খাটাল ছিল। সর্বশেষ অভিযান চলেছে গত পাঁচ ডিসেম্বর। ইতিপূর্বে প্রতিবারই অভিযানের সময়ে নির্মাণকারী-সহ নানা তরফ থেকে বাধার মুখে রেল প্রশাসনকে পড়তে হয়েছে। সে সব উপেক্ষা করে কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে গিয়েছেন।

সিএলডব্লিউ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের মুখে এই অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোট মিটতেই ফের তা শুরু হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই অভিযান চলছে। মূলত শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা ও বহিরাগতদের দখল থেকে মুক্ত করে রেল আবাসিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই অভিযান বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chittaranjan Locomotive Works Chittaranjan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy