Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দু’সপ্তাহ হদিস নেই ছাত্রীর

সাতগাছিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া দাস নিখোঁজ হয় ৭ ডিসেম্বর। পরিবারের দাবি, স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পরে দিদি সুপ্রিয়ার কথা কাটাকাটি হয় তার।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪০
Share: Save:

বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ছাত্রী। সপ্তাহ দুয়েক পেরিয়ে গেলেও তার কোনও হদিস নেই। ছাত্রীর পরিবারের তরফে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ধৃত যুবকের পরিবারের যদিও দাবি, ঘটনার দিন সে মহারাষ্ট্রে ছিল। তাকে ডেকে এনে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাতগাছিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সানিয়া দাস নিখোঁজ হয় ৭ ডিসেম্বর। পরিবারের দাবি, স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পরে দিদি সুপ্রিয়ার কথা কাটাকাটি হয় তার। সুপ্রিয়ার কথায়, ‘‘রান্না বসানো নিয়ে ঝগড়ার ফাঁকে বোন একটি ফোনে কথা বলা শুরু করায় সেটি কেড়ে নিই। এর পরে আমি সাইকেল নিয়ে পড়তে যাই। ফিরে এসে দেখি, বোন বাড়িতে নেই।’’ বাড়ির একটি মোবাইল ফোন নিয়ে সানিয়া নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পরিজনদের দাবি।

সুপ্রিয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, বোনের ফোনে সে দিন কয়েকবার ফোন আসে হুগলির গুপ্তিপাড়ার ফতেপুরের যুবক শ্যামল মণ্ডলের। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে জানায়, সানিয়ে রয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনে। কিন্তু বাড়ির লোকজন সেখানে গিয়ে তার খোঁজ পাননি। তাঁদের দাবি, শ্যামল ফোনে জানায়, সে মুম্বইয়ে রয়েছে। সানিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কথোপকথনের একটি রেকর্ডও পাঠায় সে। তাতে শোনা যায়, শ্যামল সানিয়ার কাছে জানতে চাইছে, সে কোথায় রয়েছে। উত্তরে সানিয়া জানাচ্ছে, সে কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে। কথোপথনের রেকর্ড পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে ছাত্রীটির পরিবার জানায়। শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কালনা থানার পুলিশ। সে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরলে ১২ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে তারা জেনেছে, শ্যামলের সঙ্গে নিখোঁজ ছাত্রীর যোগাযোগ ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের ঘটনায় তার যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। কালনার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী ফোনে যে জায়গায় রয়েছে বলে দাবি করেছে, সেখানে ছিল না।’’ পুলিশ জানায়, মেয়েটি বাড়ি থেকে যে ফোনটি নিয়ে বেরিয়েছিল সেটি বন্ধ। তবে ফোনের সূত্র ধরেই খোঁজ চলছে।

শ্যামলের পরিবারের দাবি, মিথ্যা মামলায় ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার মা সুপ্রিয়া মণ্ডলের দাবি, শ্যামল ২ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রে পোশাক তৈরির কাজ করতে গিয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা স্বপন দাস বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যেই অচেনা একটি নম্বর থেকে ফোন আসছে। তবে এখনও মেয়ের কোনও খোঁজ পাইনি। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Missing Student Satgachia Balika Vidyalaya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE