Advertisement
E-Paper

নিভৃতবাসে কি না, নজরদারিতে তৈরি কমিটি

রবিবার কাটোয়া ১ ব্লকের মণ্ডলহাটের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডল রাজস্থানের জয়পুর থেকে ফিরে বাড়িতে ঢুকতে গেলে গ্রামবাসীর একাংশের বাধায় ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:৫৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গ্রামবাসী এলাকায় ঢুকতে বাধা দিলে, কাছাকাছি নিভৃতবাস কেন্দ্রে গিয়ে থাকতে পারেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা, পরামর্শ দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। নিভৃতবাসে না থাকলে কী ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়ে জেলা জুড়ে সচেতনতা প্রচারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান আধিকারিকেরা। পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিভৃতবাসে থাকছেন কি না, তা দেখার জন্য সোমবার থেকে প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধরে ‘নজরদারি’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিবার কাটোয়া ১ ব্লকের মণ্ডলহাটের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডল রাজস্থানের জয়পুর থেকে ফিরে বাড়িতে ঢুকতে গেলে গ্রামবাসীর একাংশের বাধায় ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। পরিজনেরা অভিযোগ করেন, বিশ্বজিৎ অসুস্থ ছিলেন। নানা জায়গায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ঘোরার পরে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বর্ধমানের গাংপুরের ‘কোভিড’ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় সচেতনতার অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।

প্রশাসনের দাবি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে আসা শ্রমিকদের ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। বাকিদের পাঠানো হচ্ছে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ। মঙ্গলবার দুপুরে জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতীর দাবি, ‘‘এ রকম ঘটনা ঘটার কথা নয়। মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও তো কিছু জানায়নি।’’ এর পরেই জেলাশাসক পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আমরা জানি না, কার কী অসুখ রয়েছে। আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। তার পরে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। প্রয়োজনে নিভৃতবাস কেন্দ্রে গিয়ে থাকুন। সেখানে বাড়ি থেকে খাবার দেওয়ার সুবিধাও রাখা হয়েছে।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিভিক ভলান্টিয়ার, সিভিক ডিফেন্স ভলান্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশাকর্মীদের নিয়ে প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ওয়ার্ড পিছু কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে কেন নিভৃতবাসে থাকা প্রয়োজন, তা বোঝাবে এবং এলাকার মানুষকেও সচেতন করবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘নিভৃতবাসে মাত্র সাত দিন থাকতে হবে। তা না থাকলে বড় ক্ষতি। সেটা বোঝানো হবে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মোড়ে-মোড়ে ফ্লেক্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে এই মুহূর্তে প্রায় হাজারখানেক আশ্রয়-শিবির রয়েছে। তার মধ্যে ৭৩টি নিভৃতবাস কেন্দ্র। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। নিভৃতবাস কেন্দ্রে রয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার জন। সবাই বাড়িতে বা স্থানীয় কেন্দ্রে নিভৃতবাসে আছেন কি না, তা দেখার জন্য টাস্ক ফোর্সের মোবাইল-টিম, নজরদার কমিটি ঘুরে প্রতিদিন রিপোর্ট দেবে।

Coronavirus Health Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy