এই পুকুরটিই ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
ইসিএলের একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল। অভিযোগটি উঠেছে জামুড়িয়ার মণ্ডলপুর থেকে বেনালি যাওয়ার রাস্তার পাশে, তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংহের কার্যালয় থেকে মেরেকেটে দু’শো মিটার দূরে। যেখানে এই অভিযোগ, সেই ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর খোদ আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। পুকুর ভরাটের বিষয়ে ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার কাছে চিঠিও দিয়েছেন বাসিন্দারা। অভিযোগকারীদের তালিকায় রয়েছেন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের এক জেলা নেতাও।
অন্যতম অভিযোগকারী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্যতম জেলা সাধারণ সম্পাদক পিন্টু দত্ত সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে দাবি করেন, ছ’মাস ধরে এলাকার জমি মাফিয়ারা ইসিএলের পরিত্যক্ত জমি প্লট করে বিক্রি করছে। এ নিয়ে গত জানুয়ারিতে ইসিএলের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। তার পরে অনিয়ম কিছু দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু পিন্টুর অভিযোগ, “গত কয়েক দিন ধরে ফের জমি মাফিয়ারা ওই রাস্তার পাশে ইসিএলের একটি পুকুর ভরাট করছে। ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ ভরাট করেও দেওয়া হয়েছে।” তবে এই জমি মাফিয়ারা কারা, তা অবশ্য ভাঙেননি তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা মানিক গড়াই, সোনা কিস্কুদের বক্তব্য, “পুকুরের জল স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করেন। পুকুর ভরাট করা হলে খুবই সমস্যায় পড়ব আমরা।”
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার নেতা সন্তোষ সিংহের অভিযোগ, “তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এখন ওঁদের কোনও-কোনও নেতাও জনতার চাপে এ নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছেন।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র বিধান। তবে তিনি জানান, বিষয়টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং ইসিএলকে জানানো হবে।
বিএলএলআরও (জামুড়িয়া) সত্যজিৎ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার মুকেশ যোশীরও বক্তব্য, “বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy