Advertisement
E-Paper

ইসিএলের জমি দখল, পুকুর ভরাটের অভিযোগ

বরুণের দাবি, ৪৬৩ দাগ নম্বরে ৭১ শতক তাঁর নিজস্ব জমি আছে। তাতে তিনি একটি চায়ের দোকান ও একটি নিজস্ব অফিস বানানোর জন্য দু’টি এককক্ষ বিশিষ্ট ঘর বানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০২
এই নির্মাণ দু’টি নিয়ে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

এই নির্মাণ দু’টি নিয়ে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

ইসিএলের জমি দখল এবং এলাকার পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল উখড়া পঞ্চায়েত এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ডাল-মাধাইগঞ্জ রাস্তার চনচনি থেকে সরপির মাঝামাঝি এলাকায় ইসিএলের জমি রয়েছে। অভিযোগ, রীতিমতো পল্ট করে জমি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, “তৃণমূল পরিচালিত উখড়া পঞ্চায়েতের স্থানীয় সদস্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী চঞ্চল ও তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত বরুণ দাঁ’র নেতৃত্বে সংস্থার জমি সমতল করে বিক্রির তোড়জোড় চলছে।” বিজেপির রানিগঞ্জ তিন নম্বর মণ্ডল সভাপতি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সংস্থার বাঁকোলা এরিয়ার জিএম সঞ্জয় সাউয়ের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কাজলের দাবি, ওই এলাকায় ইস্ট শীতলপুর কোলিয়ারির (৪৬৩ দাগ নম্বরে) দু’বিঘার বেশি জমি আছে। সেখানে ইতিমধ্যে দু’টি বাড়ি বানিয়েছে মাফিয়ারা। সংস্থার আধিকারিকেরা যুক্ত না থাকলে, এ ধরনের কাজ হতে পারে না বলে দাবি তাঁর।

বরুণের দাবি, ৪৬৩ দাগ নম্বরে ৭১ শতক তাঁর নিজস্ব জমি আছে। তাতে তিনি একটি চায়ের দোকান ও একটি নিজস্ব অফিস বানানোর জন্য দু’টি এককক্ষ বিশিষ্ট ঘর বানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। বাঁকোলা এরিয়ার জিএম সঞ্জয়কুমার সাউ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে, উখড়া পঞ্চায়েতের চকবনবহাল মৌজায় একটি পুকুরের অর্ধেক বুজিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির আসানসোল জেলা সহ-সভাপতি ছোটন চক্রবর্তীর। ছোটন জানান, বৃহস্পতিবার অন্ডাল ভূমি দফতরের আধিকারিকের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি), বিডিও (অন্ডাল)-র অভিযোজ জানানো হয়েছে। তাঁর দাবি, চকবনবহাল মৌজায় একটি পুকুরের অর্ধেক ভরাট করে ফেলেছেন পুকুরের মালিকেরা। ওই পুকুরের এক মালিক রবি রায়ের দাবি, শ’খানেক শরিকের মালিকানাধীন পুকুর। আবর্জনা ভরে আছে। পরিষ্কার করার কেউ নেই। পুকুর ভরাট করার অভিযোগ মিথ্যা। পুকুরের পাশের জমি সমতল করা হয়েছে।

দু’টি অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) সন্দীপ টুডু জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ecl Land encroachment Andal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy