বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অভিযুক্ত ইতিমধ্যে আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন।
আদালত সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ডাক্তারের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস আগে সমাজ মাধ্যমে আলাপ হয় বাঁকুড়ার এক যুবতীর। ক্রমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দু’জনের মধ্যে। এর পর অভিযুক্ত যুবক ওই যুবতীকে হাসপাতাল লাগোয়া হস্টেলে ডেকে পাঠান। সেখানেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় দু’জন। ওই যুবতীর অভিযোগ, তারপর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন এবং বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
গত ১৬ জুলাই ওই যুবতী ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থল বর্ধমান থানার অধীনে থাকায় তা স্থানান্তরিত হয় সেখানে। অন্য দিকে, অভিযুক্ত গ্রেফতার হতে পারেন এই আশঙ্কায় আদলতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদলত তার শর্তসাপেক্ষ আগাম জামিন মঞ্জুর করে।
অভিযুক্তের আইনজীবী বলেন, “যে হেতু অভিযোগকারিণী সাবালিকা, তাই এটিকে ধর্ষণ বলা যায় না। উপরন্তু ঘটনার একাধিক দিন পরে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে। সকলের চোখ এড়িয়ে ওই যুবতী কী করে হস্টেলে পৌঁছে গেলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।