দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে শামিল হলেন দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার গোপালপুর পঞ্চায়েতের পাথরডিহা গ্রামে। গোপালপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সুমিত্রা হাঁসদার অভিযোগ, একটি বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাদ দিয়ে, বহিরাগতদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছে দলের ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্ত। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক সভাপতি।
বেশ কয়েক বছর ধরে কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকে ভূগর্ভস্থ কোল বেড মিথেন উত্তোলন করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। বিভিন্ন জায়গায় পিট তৈরি করে সেই কাজ হচ্ছে। কাঁকসার গোপালপুরের পাথরডিহা গ্রামে একটি পিট তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, সেখানে কাজ পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। বহিরাগতদের অর্থের বিনিময়ে সেখানে কাজ দেওয়া হচ্ছে, এবং তা করছেন কাঁকসা ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্ত— দাবি পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রার।
সোমবার সকাল থেকে পাথরডিহার গ্যাস উত্তোলক সংস্থার পিটের সামনে কিছু বাসিন্দাকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সুমিত্রা। তিনি অভিযোগ করেন, এলাকায় আমাদের সমর্থকেরা কাজ চাইছেন। কিন্তু টাকার লেনদেন চলছে। টাকা দিয়ে বাইরের লোক কাজে নিয়োগ হচ্ছে। এলাকার গরিব মানুষ টাকা দিতে পারবেন না। তাঁর দাবি, ‘‘ব্লক সভাপতি এই কাজ করছেন। এটা আমি মানতে পারব না।’’ বিক্ষোভকারীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ মানা হবে না।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বর্ধমান সদর সহ-সভাপতি রমন শর্মার দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্য ধর্নায় বসছেন কাজের জন্য। অথচ, ওঁর দলের লোকই টাকার বিনিময়ে কাজ দিচ্ছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল টাকার জন্য সব করতে পারে।’’ তবে নবকুমার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ‘‘নিয়োগের বিষয়টি শ্রমিক সংগঠনের বিষয়। যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভুল। বহিরাগত নিয়োগের যে বিষয়টি ওই পঞ্চায়েত সদস্য তুলে ধরেছেন, সেখানে তাঁর ছেলের নামও রয়েছে। তাই তিনিই পরিষ্কার করে বলতে পারবেন, কাকে কত টাকা দিয়েছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)