তিন জন বিজেপি কর্মীকে রাস্তায়ফেলে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানা ওয়ারিয়া এলাকায়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করার দাবিতে সোমবার ডিটিপিএস ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিজেপি। তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয়।
গত শুক্রবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা হয়েছে। সেই সভা উপলক্ষে কাটআউট, ফ্লেক্স, পতাকা লাগানো হয়েছিল বিজেপির তরফে।অভিযোগ, সে জন্য তৃণমূলের লোকেরা বিজেপি কর্মী ছোট্টু চৌধুরী, মুন্না চৌধুরী ও রাজেন চৌধুরীরউপরে হামলা চালিয়েছেন।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আক্রান্ত ছোট্টু, মুন্না ও রাজেন দলের দু’নম্বর মণ্ডলের সক্রিয় কর্মী হিসাবেএলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁদের উপরেহামলা হয়। প্রথমে রাজেনকে মারধর করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েআক্রান্ত হন বাকি দু’জন। ছোট্টুর অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী আসবেনবলে আমরা যখন ওয়ারিয়া এলাকা জুড়ে প্রচার করছিলাম, তখনআমাদের হুমকি দিয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। রবিবার রাতে প্রথমে আমার ভাইকে মারধর করা হয়। আমরা ছাড়াতে গেলে গলা চেপে ধরে মারধর করা হয়।” মুন্নার দাবি, “আমাকে মারধর করার পরেএলাকা ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।”
প্রতিবাদে সোমবার সকালে ডিটিপিএস ফাঁড়িতে যান দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁর নেতৃত্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশ দোষীদেরশাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এ দিন রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে আজ,মঙ্গলবার থেকে লাগাতার আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন লক্ষ্মণ।তিনি বলেন, “আমাদের তিন জন কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এর বিহিত না হলে শেষ দেখে ছাড়ব।” যদিও তৃণমূলেরজেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তাই যে কোনও বিষয়নিয়ে তিলকে তাল করছে।” তাঁরদাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদেরকেউ যুক্ত নয়।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)