বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত। নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের দু’পক্ষের মধ্যে গোলমালের ঘটনায় জখম হলেন আট জন। সোমবার সকালে বর্ধমানের গোপালপুর গ্রামের ঘটনা।
বর্ধমান থানার পুলিশ জানায়, মোশারফ শেখ নামে এক তৃণমূলের এক নেতা ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মোশারফরা ৬-৭ জন মিলে হাটে যাচ্ছিলেন। আচমকা পথ আটকে কয়েক জন রড, লাঠি, বোমা নিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলায় তাঁদের কয়েক জন আহত হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মেহেরুন্নেসা শেখ অন্য এক জন আবার আট জনের নামে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি পুলিশকে জানান, পুরনো বিবাদের জেরে গোলমাল হয়েছে। তাঁদের দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়েছে বলে দাবি।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৮ জনই নিজেদের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন। এক পক্ষের ছ’জন, অন্য পক্ষের দু’জন ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি বাবর আলি খান, মোশারফ হোসেনদের অভিযোগ, ‘‘আমরা তৃণমূল করি। অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা দোকানপাট, হাট থেকে তোলাবাজি করে। তা নিয়ে কয়েক দিন আগে বচসা হয়। সেই আক্রোশেই মারধর করা হয়েছে।” অন্য পক্ষের জখম নাসিরুদ্দিন মল্লিক ও কালু শেখদেরও পাল্টা দাবি, “ওদের তোলাবাজিতে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ। দলের মধ্যে এই সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমাদের আক্রান্ত হতে হল।”
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ কিবরিয়া-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ধমানের আইসি শান্তনু মিত্র জানান, এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের তল্লাশিও চলছে। বর্ধমান ১ ব্লকের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক খোকন দাস অবশ্য বলেছেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। গ্রামের গোলমালকে দলের উপরে চাপানো হচ্ছে।’’
বর্ধমানের মাহিনগরেও এ দিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলি-বোমা চলেছে বলে জানা গিয়েছে।। ভাতারের রাজিরপুরেও দু’দলের গোলমালে জখম হয়েছেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য গোলাম কিবরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy