ফের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠল কাটোয়ায়। শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা সুব্রত রায়ের অভিযোগ, তাঁর বাড়ির জায়গায় জোর করে পাঁচিল দিয়েছেন পড়শি লক্ষ্মী দাস। পুরসভায় অভিযোগ জানানোর পরে পুলিশ নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু নজর ঢিলে হতেই ফের পাঁচিল গাঁথা চলছে বলেও তাঁর দাবি। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি লক্ষ্মীবাবু। আর পুরপ্রধান অমর রাম বলেন, ‘‘রাতারাতি অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এগুলো সময়সাপেক্ষ।’’
এর আগেও বেআইনি বহুতল নির্মাণ, বিপজ্জনক ভাবে ত্রিতল নির্মাণ, জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ, পুলিশের নজরদারি ঢিলে হতেই তার সুযোগ নিয়েছে নির্মাণকারীরা। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলেও বাসিন্দাদের দাবি। গত মাসে এই ওয়ার্ডেই অবৈধ ভাবে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ উঠিছিল কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুরের বিরুদ্ধে। আবার ১, ১৮, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধ নির্মাণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিন পনেরো আগে পড়শি লক্ষ্মীবাবুর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ করেন সুব্রতবাবু। তিনি জানান, কাঠা দুয়েক জায়গার উপর তাঁর বছর চল্লিশেকের পুরনো বাড়ির উত্তরদিকে দেড়ফুট জায়গা ছাড়া ছিল। অভিযোগ, ওই দেড়ফুটের মধ্যে অর্ধেক জায়গায় বছর সতেরো আগে পাঁচিল গড়তে শুরু করেন পড়শি লক্ষ্মীবাবু। সুব্রতবাবু পুরসভায় অভিযোগ জানালে ১৫ ফুট পাঁচিল দেওয়ার পরে নিষেধ জারি করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ওই নির্মাণ ফের শুরু করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘সারা রাত ধরে কাজ করায় এই ক’দিনেই পাঁচিলের উচ্চতা ২০ ফুট ছুঁয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, থানায় অভিযোগ জানানোয় পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে যেতেই যে কে সেই। দু’দিন পর ফের পুরসভা ও মহকুমাশাসককের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
লক্ষ্মীবাবুর এক আত্মীয় কিরণ মজুমদারের যদিও দাবি, ‘‘পাঁচিল যেখানে হয়েছে ওটা আমাদেরই জায়গা। বৈধ কাগজ রয়েছে।’’ পুরপ্রধান অমর রাম বলেন, ‘‘কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। ৪ঠা জানুয়ারি ওঁকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হলেও উনি আসেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy