বছর দেড়েক আগে গোটা মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন স্কুলে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে কালনায়। সেই স্মৃতি উস্কে দিয়েই সোমবার রাতে ফের কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটল। ওই রাতে কালনার সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০টি কম্পিউটার ও একটি প্রজেক্টর চুরি গিয়েছে। এরপর ছাত্রীদের কী ভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শিক্ষিকারা স্কুলে এসে দেখেন, দোতলার কম্পিউটার ঘরের কলাপসিবল গেট ও কাঠের দরজা ভাঙা। আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভাঙা তালা। শিক্ষিকারা জানা, কম্পিউটার ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখা যায় টেবিলে পড়ে রয়েছে মাউস ও কি বোর্ড। কম্পিউটার ঘর ছাড়া অন্য দু’টি ঘরেও তালা ভাঙা হয়েছে বলে খবর।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩ সালে একটি সরকারি প্রকল্প থেকে ওই কম্পিউটার ও প্রজেক্টরটি পাওয়া গিয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষকা শৃন্বন্তি মুখোপাধ্যায় জানান, নিখরচায় প্রায় ছ’শো ছাত্রীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর ফলে প্রশিক্ষণ চালু রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শৃন্বন্তিদেবী।
বাসিন্দারা জানান, বছর দেড়ে আগে কালনা, মন্তেশ্বর-সহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৫টি স্কুলে লাগাতার কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ কম্পিউটারগুলি উদ্ধারও করে। তারপর থেকেই গরম বা পুজোর ছুটির সময় স্কুল বন্ধ থাকলে কম্পিউটারগুলি পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয় বলে জানান সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। পুলিশের তরফে প্রতকিবারই দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে স্কুলে রাত-পাহারায় নিযুক্ত করা হতো। এ বারও কম্পিউটারগুলির পাহারা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পুলিশের কালনা থানার পুলিশের কাছে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল বলে জানান শৃন্বন্তিদেবী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে চুরির ঘটনাগুলির পিছনে একটি চক্র কাজ করেছিল। এ ক্ষেত্রেও কোনও চক্র কাজ করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy