Advertisement
E-Paper

দুই নেতার দ্বন্দ্ব, ভাঙচুর তৃণমূল অফিস

বাপিবাবুর কথায়, ‘‘গণেশ নন্দী ও তাঁর অনুগামীরা ওই অঞ্চলে অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত। আমি বাধা দিয়েছি। তাই এ ভাবে আমার কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’’ তিনি জানান, গণেশবাবুর নামে পুলিশে অভিযোগ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৭ ০১:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল সমর্থকদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাধল আসানসোল উত্তর থানার শীতলা গ্রাম লাগোয়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে এই সংঘর্ষে নাম জড়াল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি হুইলার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা গনেশ নন্দীর। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আসানসোলের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপি হুইলার অভিযোগ করেন, এ দিন সকালে গণেশ নন্দীর ও তাঁর দলবল শীতলা গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালান। কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাপিবাবুর কথায়, ‘‘গণেশ নন্দী ও তাঁর অনুগামীরা ওই অঞ্চলে অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত। আমি বাধা দিয়েছি। তাই এ ভাবে আমার কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’’ তিনি জানান, গণেশবাবুর নামে পুলিশে অভিযোগ করেছেন।

গণেশবাবু এই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেন, কাউন্সিলরের অনুগামীরা ইদানীং শীতলা গ্রামে মহিলাদের নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সকালে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তাঁদের কথা না শুনে একতরফা আক্রমণ করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। গণেশবাবু বলেন, ‘‘দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের কথা স্বপ্নেও ভাবি না।’’ তাঁরাও পুলিশে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় দলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধছে। এই অঞ্চলে নানা সরকারি-বেসরকারি নির্মাণকাজ চলছে। জেলা ভাগের পরে নতুন কার্যালয় তৈরির তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। ফলে, এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিমেন্ট, বালি সরবরাহে যুক্ত নানা সিন্ডিকেট। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, শাসকদলের ওই দুই গোষ্ঠীর বিবাদের নেপথ্যেও রয়েছে সিন্ডিকেটের দ্বন্দ্ব। সদ্য বিজেপি ছেড়ে বাপিবাবু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে দ্বন্দ্ব আরও চরমে উঠেছে বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি। যদিও বাপিবাবু সে কথা মানতে চাননি।

তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ঘটনা হয়নি। দু’পক্ষের সামান্য বিবাদ হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। স্থানীয় ব্লক সভাপতিকে রিপোর্ট দিতে বলেছি। দোষ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত করা হচ্ছে।

TMC তৃণমূল কংগ্রেস TMC Leader Conflict
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy