এই সেই নির্দেশিকা। নিজস্ব চিত্র।
তিনি মারা গিয়েছেন দু’বছর আগে। অথচ তিনি যে সংস্থায় কাজ করতেন, সেই দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) তাঁকে অন্য বিভাগে বদলির লিখিত নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি।
রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ডিপিএল-এর কোকআভেন প্ল্যান্টে জুনিয়র ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন প্রশান্ত মাইতি। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি কর্মরত অবস্থাতেই মারা যান। গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে কোকআভেন প্ল্যান্ট থেকে ডিপিএল হাসপাতালে বদলির নির্দেশ পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। প্রশান্তবাবুর স্ত্রী রিক্তাদেবী বলেন, ‘‘আমি তো শুনে অবাক। ডিপিএল কর্তৃপক্ষ কী ভাবে এমন কাজ করলেন?’’
বদলির নির্দেশ দিলেও সংস্থার তরফে এখনও স্বামীর মৃত্যুর ফলে কোনও রকম আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা মেলেনি বলে অভিযোগ রিক্তাদেবীর। তিনি জানান, মেয়ে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। পড়াশোনা ও সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে।
এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছে শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। সংগঠনের ডিপিএল ইউনিটের নেতা উমাপদ দাস বলেন, ‘‘মৃত কর্মীকে বদলির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। ওই কর্মী বেঁচে থাকলেও তাঁকে নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে বদলি করা যেত না।’’ তবে কার গাফিলতিতে, কী ভাবে এমন হল তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ডিপিএল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy