Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Polytechnic College at Asansol

কলেজে ১৫ বছর ধরে চাকরি, বেতন দু’হাজার টাকা

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের অনুমোদন নিয়ে ওই তিন জন অস্থায়ী কর্মীকে কাজে নিয়োগ করা হয়। ২০০৭-এ নিয়োগ করা হয় ইভা দে নামে এক জনকে।

বেতন মাত্র ২ হাজার টাকা।

বেতন মাত্র ২ হাজার টাকা। প্রতীকী চিত্র।

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৫২
Share: Save:

প্রায় ১৫ বছরের চাকরি জীবন। কিন্তু মাসে বেতন দু’হাজার টাকা। এই অবস্থায় আতান্তরে পড়েছেন রূপনারায়ণপুরের নজরুল সেন্টেনারি পলিটেকনিক কলেজের তিন জন অস্থায়ী কর্মী। সংসার চালাতে অবসরে দিনমজুরিও করতে হয় বলে দাবি। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে, সে দিকেই তাকিয়ে ওই তিন জন।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের অনুমোদন নিয়ে ওই তিন জন অস্থায়ী কর্মীকে কাজে নিয়োগ করা হয়। ২০০৭-এ নিয়োগ করা হয় ইভা দে নামে এক জনকে। তাঁর বেতন সে সময় ছিল ৭০০ টাকা। ২০০৯-এ তাঁর বেতন বেড়ে হয় দু’হাজার টাকা। ওই সময়ে আরও দু’জন, জিয়ারাম গড়াই এবং আশিস কর্মকারকেও মাসে দু’হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ করা হয়।

ওই তিন জনই সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে দাবি করেছেন, নিয়োগের সময় তাঁদের বলা হয়েছিল, ধাপে-ধাপে বেতন বাড়বে। কিন্তু বেতন আটকে থেকেছে দু’হাজার টাকাতেই। তাঁদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের নির্ধারিত ন্যূনতম বেতনও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির চাপে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। আশিস বলেন, “বাড়িতে পাঁচ জন সদস্য। কলেজ শেষে দিনমজুরি করি।” জিয়ারাম ও আশিস কলেজের পরীক্ষাগারে সহায়কের কাজ করেন। ইভা বলেন, “আমি কলেজের প্রশাসনিক দফতরে কাজ করি। এত কম বেতনে আর পেরে উঠছি না।” কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আলি জানান, তিনি অধ্যক্ষ হওয়ার আগে ওই তিন জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এই কলেজের পাশাপাশি, রাজ্যের আরও বিভিন্ন কলেজে কারিগরি শিক্ষা দফতরের অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ করা এমন প্রায় ১৩০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন, যাঁদের বেতন মাসে দু’হাজার টাকা। ফারুকের প্রতিক্রিয়া, “আমরা কয়েক বার কারিগরি শিক্ষা দফতরের কাছে ওঁদের বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করে চিঠি লিখেছি। ইতিবাচক সাড়া আসেনি।”

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-এ রাজ্য সরকারি কর্মীদের নতুন পে-কমিশন গঠনের সময়ও রাজ্যের সব পলিটেকনিক কলেজ কর্তৃপক্ষ এই কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। ওই তিন অস্থায়ী কর্মী বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করার আর্জি জানিয়েছিলেন। বিধান এ বিষয়ে চেষ্টা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

polytechnic Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE