Advertisement
E-Paper

বর্ষায় বাঁধ সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন অগ্রদ্বীপে

বাঁধ তৈরির কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের চরসাহাপুরের বাসিন্দারা। কয়েক বছর ধরেই চলছে ভাগীরথীর ভাঙন। এই ভরা বর্ষার মুখে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, বর্ষায় নির্মাণকাজের সামগ্রী নদীর গর্ভে চলে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০১:২৫
ভেঙেছে পাড়। সংস্কার চলছে।

ভেঙেছে পাড়। সংস্কার চলছে।

বাঁধ তৈরির কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের চরসাহাপুরের বাসিন্দারা। কয়েক বছর ধরেই চলছে ভাগীরথীর ভাঙন। এই ভরা বর্ষার মুখে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, বর্ষায় নির্মাণকাজের সামগ্রী নদীর গর্ভে চলে যাবে। ভাগীরথীর জলোচ্ছাসে মেরামতির কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। দাঁইহাট পুরসভা লাগোয়া ২ নম্বর ব্লকের অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের এই চরসাহাপুর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে অনেক দিন ধরেই। কয়েক একর চাষের জমি ভাগীরথীর জলে চলে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। বাঁধ ভেঙে গেলে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। এই বাঁধের উপরে নির্ভরশীল দাঁইহাট শহরও।

যে সব নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সংস্কার চলছে তা ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। অগ্রদ্বীপের চরসাহাপুরে।

গ্রামবাসী যাদবচন্দ্র দে, প্রতিমা চৌধুরী, উত্তম কৈবর্তেরা জানান, বর্ষায় ভাগীরথী এখানে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এই সময়ে এখানে নির্মাণকাজ কী ভাবে হবে, জানি না! প্রবল স্রোতে নির্মাণের জিনিসপত্র সব নদীতে চলে যাবে বলে ভয় হচ্ছে আমাদের। সেক্ষেত্রে মেরামতির কাজ অসম্পূর্ণই রয়ে যাবে।’’ কাটোয়ার মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার বলেন, ‘‘১২৫০ মিটারের কাজে প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওই এলাকায় ভাঙনের প্রবণতা বেশি। দাঁইহাট শহরও রয়েছে। সে কারণে তড়িঘড়ি কাজ করতে চাইছে সেচ দফতর।’’

ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।

Katwa Bridge reformation Controversy rain land slide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy