Advertisement
E-Paper

জেলায় ফের করোনা রোগীর হদিস মিলল

ব্লক প্রশাসন (জামুড়িয়া) জানিয়েছে, গত ১৫ মে মহারাষ্ট্রের থানে থেকে গাড়িতে চড়ে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে চিচুড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ০৩:৪৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মহারাষ্ট্র থেকে সপরিবার আসা বছর ৪৯-এর এক ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলার (পশ্চিম বর্ধমান) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার। জামুড়িয়ার চিচুড়িয়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। শুক্রবার দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘জামুড়িয়ায় এক ব্যক্তি কোভিড-পজ়িটিভ। প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

ব্লক প্রশাসন (জামুড়িয়া) জানিয়েছে, গত ১৫ মে মহারাষ্ট্রের থানে থেকে গাড়িতে চড়ে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে চিচুড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি। ওই দম্পতির বছর দশেকের মেয়ে মামার বাড়িতে থাকে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পশ্চিম বর্ধমানের ডুবুরডিহি ‘চেকপোস্ট’ পেরনোর সময়ে তিন জনের শরীরে কোনও উপসর্গ ধরা পড়েনি। তবে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, বৃহস্পতিবার রিপোর্ট এলে দেখা যায় ওই ব্যক্তি ‘করোনা-পজ়িটিভ’। ওই রাতেই ৮টা নাগাদ তাঁকে কাঁকসার ‘কোভিড-হাসপাতালে’ পাঠানো হয়। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালককে আসানসোলের সেনর্যালে রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। তার পরে, তাঁদের আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে ১৪ দিনের জন্য নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। ওই পরিবারটির পড়শি ভাগবত কর্মকার বলেন, ‘‘এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তবে ওই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন কেউই বাড়ির বাইরে যাননি।’’

এ দিকে, আক্রান্তের শ্বশুরবাড়ির পাড়াকে ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। এ দিন দুপুরে ব্লক প্রশাসনের তরফে, আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ি-সহ লাগোয়া মোট ১১টি বাড়িতে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়। পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বনাথ সাঙ্গুই, উপ-প্রধান দিলীপ শীলেরা জানান, ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় ৩৫টি পরিবার রয়েছে। পঞ্চায়েত সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে।

পাশাপাশি, ব্লক প্রশাসন জানায়, ইতিমধ্যে জামুড়িয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ রাজ্য থেকে মোট ৭২টি পরিবার এসেছে। ওই পরিবারগুলিকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। কেউ অসুস্থ নন বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। প্রধান বিশ্বনাথবাবু জানান, এ পর্যন্ত তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১৩টি পরিবার বাইরে থেকে এসেছে। তাঁদের বাড়িতেই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকেই সুস্থ বলে তাঁর দাবি।

বিডিও (জামুড়িয়া) কৃশাণু রায় জানান, ওই আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় বাসিন্দাদের যাতায়াতের দিকে বাড়তি নজর রাখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, সে বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।

Coronavirus in West Bengal Jamuria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy