Advertisement
০৩ মে ২০২৪
coronavirus

করোনা-ভয়ে ফুচকার বিক্রি কম, বিপাকে বিক্রেতারা

বিক্রেতাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ স্কুল দীর্ঘ দিন। বন্ধ গ্রামেগঞ্জের ছোট-বড় উৎসবও।

পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি ফুচকা।

পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি ফুচকা। নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৬:১৮
Share: Save:

স্কুল থেকে বাজারের মোড়, বাইরে বেরোলে ফুচকা না খেয়ে ফিরতেন না অনেকে। গত দেড় বছর ধরে অনেকটাই ভাটা পড়েছে তাতে। করোনা পরিস্থিতিতে কারবার প্রায় বন্ধ, দাবি করেছেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকার কুণ্ডুপাড়ার ফুচকা বিক্রেতারা। তাঁদের দাবি, দৈনিক যেখানে সাতশো-আটশো টাকার ফুচকা বিক্রি হত, তা কমে দাঁড়িয়েছে একশো-দেড়শো টাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় প্রায় ৭০ ঘর বাসিন্দা রয়েছেন যাঁরা ফুচকা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতেই মাটির উনুনে ফুচকা তৈরি করেন তাঁরা। তারপরে কাচের বাক্স বসানো ভ্যানে ফুচকা সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন মেলা, স্কুল বা জনবহুল জায়গায়। বিক্রেতাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ স্কুল দীর্ঘ দিন। বন্ধ গ্রামেগঞ্জের ছোট-বড় উৎসবও। বাজারও খোলা থাকছে অল্প সময়ের জন্য। এই পরিস্থিতিতে ফুচকা বিক্রি নেমে এসেছে তলানিতে।

কুণ্ডুপাড়ার ফুচকা বিক্রেতা বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, ‘‘হাতে করে টকজল তৈরি করে ফুচকা দিতে গেলে অনেকেই তা খেতে চাইছেন না। করোনা আতঙ্কে ভুগছেন সবাই। আমরা বাড়িতে ফুচকার ১০, ২০ টাকার প্যাকেট তৈরি করে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রির চেষ্টা করছি। তাতেও লাভ হচ্ছে না।’’ আর এক ফুচকা বিক্রেতা স্বপন সরকারেরও দাবি, ‘‘একসময় দিনে সাতশো টাকার বিক্রি হত, এখন দেড়শো টাকাও রোজগার নেই। আয় একেবারে কমে গিয়েছে।’’ সংস্সার চালাতেও মুশকিলে পড়ছেন, দাবি তাঁদের। দীর্ঘ দিনের ফুচকা বিক্রেতা ভগীরথ দত্তের মতো অনেকেরই আশা, সরকার পাশে দাঁড়ালো হয়তো কিছু সুরাহা মিলতে পারে।

পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, ফুচকা বিক্রেতাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus COVID19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE