কেউ সাধারণ রোগী, কেউ অন্তঃসত্ত্বা। প্রত্যেকেই ‘আল্ট্রাসোনোগ্রাফি’ করানোর জন্য এসেছিলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় না রেখেই গাদাগাদি করে বসে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। ভিড়ের মধ্যে দেখা গিয়েছে কয়েকজন শিশুকেও।
রবিবার গুসকরার দু’টি ‘ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ এমন ছবি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে রোগীদের নিপারদ দূরত্ব মেনে বসানোর ব্যবস্থা করে। ওই পরীক্ষা কেন্দ্র দু’টির দাবি, তাঁরা রোগীদের সচেতন করলেও কেউ নির্দেশ মানেননি। যদিও ওই রোগীদের দাবি, তাঁদের পক্ষে (বিশেষত অন্তঃসত্ত্বা) দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আর কোনও ব্যবস্থা না থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রের বেঞ্চেই ঘেঁষাঘেঁষি করে বসেছিলেন তাঁরা।
এ দিনই জেলায় প্রথম করোনাভাইরাস পজ়িটিভ রোগীর সন্ধান মিলেছে। তার পরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা কেন্দ্রের এমন ছবি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেই রোগীরা আসেন ওই কেন্দ্রে। রোগীদের একাংশের অভিযোগ, বসার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় গাদাগাদি করেই বসতে হয়। অনেকে রাস্তাতেও দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, রোগী বা তাঁর সঙ্গে আসা পরিজনদের জন্য স্যানিটাইজ়ার বা হাত ধোওয়ারও ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। রোজিনা খাতুন, আজমিরা বিবিদের দাবি, ‘‘সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ‘আল্ট্রাসোনোগ্রাফি’ করতে পাঠানো হয় এখানে। কিন্তু বসে থেকে রোগ ছড়ানোর ভয় পাচ্ছি।’’
যদিও ওই কেন্দ্রের তরফে সৌরভ দে-র পাল্টা দাবি, ‘‘রোগীদের বারবার কাছাকাছি না বসার জন্য সতর্ক করা সত্ত্বেও তাঁরা শুনছেন না। তা ছাড়া এক জন রোগীর সঙ্গে একাধিক বাড়ির লোক আসায় ভিড় বেড়ে গিয়েছে।’’ রোগীদের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার আগে হাতে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।
আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডলের দাবি, এই ধরনের পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।