Advertisement
E-Paper

চাল পাচারের অভিযোগে ধৃত তিন জন 

ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকায় ভিড় জমে। ট্রাকটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৭
দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকায় জনতার বিক্ষোভ। (ইনসেটে) বাজেয়াপ্ত হওয়া চালের বস্তা। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকায় জনতার বিক্ষোভ। (ইনসেটে) বাজেয়াপ্ত হওয়া চালের বস্তা। নিজস্ব চিত্র

রেশন নিয়ে ফের অভিযোগ দুর্গাপুরে। রেশনের চালের বস্তা পাচারের অভিযোগে দুর্গাপুরের গোপালমাঠের এক রেশন ডিলার-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৭ বস্তা চাল। আটক করা হয়েছে ট্রাকটিকেও। শনিবার দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকার ঘটনা।

এ দিন সকালে মেনগেট এলাকায় জাতীয় সড়কের উড়ালপুলের তলায় চালের বস্তাবোঝাই একটি ছোট ট্রাক আটকান এলাকাবাসীর একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বস্তায় থাকা চাল রেশনের জিনিস। তাঁদের দাবি, ৫০ কেজির ওই বস্তাগুলির গায়ে খাদ্য ও খাদ্য সরবাহ দফতরের ছাপ রয়েছে।

ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকায় ভিড় জমে। ট্রাকটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। কী ভাবে, কোথা থেকে এই চাল আনা হচ্ছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খুঁজে বার করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দুর্গাপুর থানার পুলিশকর্মীরা। স্থানীয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ (‌আলো) ধর্মেন্দ্র যাদবেরও আর্জি, ‘‘কোথা থেকে, কী ভাবে রেশনের সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খুঁজে বার করুক পুলিশ।’’

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত জানান, ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোথা থেকে ও কী ভাবে ওই সামগ্রী ‘পাচার’ করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রাকটি ও উদ্ধার হওয়া সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, বেনীমাধব চট্টোপাধ্যায় নামে গোপালমাঠের ওই অভিযুক্ত ডিলারের দোকান থেকেই সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। এ ছাড়া, ট্রাকের চালক এবং মেনগেট এলাকার একটি দোকানের মালিক নির্মল বল্লভকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মেনগেট এলাকার ওই দোকানে রেশনের জিনিসপত্রগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানায়, তাঁদের কাছে বেনীমাধববাবু দাবি করেছেন, রেশন দোকানে জিনিসপত্র রাখার জায়গা হচ্ছিল না। তাই, দোকানের গুদামে রাখা হচ্ছিল।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশন এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, রেশন ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ উঠলেও, সেগুলির অধিকাংশই ভিত্তিহীন। প্রশাসনের তদন্তেই ধীরে ধীরে তা প্রমাণিত হচ্ছে। তবে, প্রকৃতই যদি কেউ কোনও অনিয়ম করে থাকেন, তা হলে তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে।

ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি বারবার রেশনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরে। সেখানের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, স্থানীয় রেশন ডিলারের কাছে গেলে তাঁদের জানানো হয়, তাঁদের নামে কোনও রেশন সামগ্রী আসে না। দ্রুত রেশন দেওয়ার দাবিতে খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরে অভিযোগ জানান তাঁরা। ৮ এপ্রিল ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার চন্দ্রডাঙা গ্রামেও রেশনে কম জিনিস দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ করেন উপভোক্তাদের একাংশ। অভিযোগের ভিত্তিতে এক রেশন ডিলারকে ‘সাসপেন্ড’ করে প্রশাসন। রেশন দোকানটিও ‘সিল’ করে দেওয়া হয়।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown Rice Smuggling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy