স্কুলের মিড-ডে মিলের চালে কারচুপির অভিযোগ উঠল সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে। কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুরে এই ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু গরমিল মিলেছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। চাল সরবরাহকারী বিমান ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল ও হাইস্কুলে মিড-ডে মিলের চাল সরবরাহ করেন কাঁকসার সুন্দিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা বিমান ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিলোকচন্দ্রপুরের প্রাথমিক স্কুলে একটি ভ্যানে করে কয়েক বস্তা চাল পাঠানো হয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির বরাদ্দ চালের পরিমাণ ছিল ৪৩১ কেজি। সেই চাল এ দিন এসে পৌঁছয়। কিন্তু যে চাল পাঠানো হয়, তা সেই পরিমাণের থেকে অনেকটা কম। পঞ্চাশ কেজির ছ’টি বস্তায় চাল পাঠানো হয়। দেখে সন্দেহ হওয়ায় গ্রামবাসীরা ওজন করতে বলেন। দেখা যায়, মোট ২৭১ কেজি চাল রয়েছে। এর পরেই কারচুপির ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হয়ে যান বলে গ্রামবাসীদের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা গুরুদাস মণ্ডল, আশিস রায়েরা জানান, নানা সূত্রে তাঁরা জেনেছিলেন, স্কুলে চাল কম পাঠানো হয়। তাই এ দিন চালের বস্তাগুলি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল। তার পরেই ওজন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বনমালী পাল, বসন্ত গড়াই, রাজবিহারী পালেরা বলেন, ‘‘এ ভাবে সরকারি চাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আবেদন জানিয়েছি আমরা।’’ খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে। চাল সরবরাহকারীকেও স্কুলে ডাকা হয়। ব্লক প্রশাসনের দুই প্রতিনিধি ঘটনার তদন্তে আসেন। পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশও। ওই ছ’বস্তা চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, তাঁর কাছে জমা পড়া রিপোর্টে চালের হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই চাল সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছি ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।’’ বিমানবাবু অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, বর্ষার সময়ে স্কুলে বেশি চাল পড়ে থাকলে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি জানাবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy