Advertisement
E-Paper

কাউন্সিলর জেলে, পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ

কয়েক সপ্তাহ আগে আউশগ্রামে স্কুল দখল নিয়ে গোলমাল, থানা ভাঙচুরের ঘটনায় কাউন্সিলর জেলে। ওয়ার্ড সচিবও নেই যে সুবিধা-অসুবিধের কথা জানাবেন বাসিন্দারা। অগত্যা পুর পরিষেবা একরকম শিকেয় উঠেছে গুসকরার ন’নম্বর ওয়ার্ডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
পড়ে রয়েছে নোংরা। নিজস্ব চিত্র।

পড়ে রয়েছে নোংরা। নিজস্ব চিত্র।

কয়েক সপ্তাহ আগে আউশগ্রামে স্কুল দখল নিয়ে গোলমাল, থানা ভাঙচুরের ঘটনায় কাউন্সিলর জেলে। ওয়ার্ড সচিবও নেই যে সুবিধা-অসুবিধের কথা জানাবেন বাসিন্দারা। অগত্যা পুর পরিষেবা একরকম শিকেয় উঠেছে গুসকরার ন’নম্বর ওয়ার্ডে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাঘাট, নর্দমা ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না। পাড়ার মধ্যে জঞ্জাল জমে স্তুপ হয়ে রয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উৎপাত। অবিলম্বে এলাকা পরিষ্কার করারও দাবি করেছেন তাঁরা। গুসকরার পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের যদিও দাবি, সমস্ত এলাকা নিয়মিত সাফাই করা হচ্ছে।

গুসকরা মুসলিম পাড়া, সংহতি পল্লি, পাত্র পাড়া এবং কৈবর্ত্য পাড়া নিয়ে ন’নম্বর ওয়ার্ড। পুরসভার দফতরও এখানেই। কিন্তু কাউন্সিলর চঞ্চল গড়াই না থাকায় পরিষেবা মিলছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর কাউন্সিলররে অবর্তমানে যাঁর দেখভাল করার কথা সেই ওয়ার্ড সচিবও এখানে নেই কোনও কালে। পাঞ্জাব শেখ, রাজু খানদের দাবি, মাস দুয়েক আগে এক বার সচিব নির্বাচনের জন্য পুরসভায় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে বিস্তর গোলমাল হয়। তারপর থেকে আর কোনও উচ্চবাচ্য নেই।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা সাফ করার জন্য ওয়ার্ডে সাফাইকর্মী পাঠানোর পরে কাউন্সিলার বা ওয়ার্ড কমিটির সচিব ঠিক করে দেন কোথায় কাজ করতে হবে। কিন্তু ন’নম্বরে দেখেশুনে কাজ করানোর কেউ নেই। ফলে আবর্জনাও পড়েই থাকছে। মুসলিম পাড়ার নজরুল শেখ, সফিয়া শেখদের দাবি, ‘‘চারিদিকে নোংরা, কিন্তু কারও কাছে অভিযোগও জানাতেও পারছি না। কাউন্সিলর না থাকায় খুব মুশকিলে পড়েছি।’’ তাঁদের আরও অভিযোগ, সাফাইকর্মীদের বলা হলেও কথা কানে না তুলে নিজেদের মতো কাজ করে তারা। আর এক বাসিন্দা মোর্শেদ মল্লিকের অভিযোগ, কাউন্সিলর না থাকায় প্রয়োজনীয় শংসাপত্র পেতেও মুশকিল হচ্ছে। পুরসভায় জানিয়েও সবসময় লাভ হচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি।

যদিও পুরপ্রধানের দাবি, এলাকায় যখন যাঁর দরকার তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করা হয়। আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কারও হয়। তিনি বলেন, ‘‘কাউন্সিলার যেখানে নেই, সেখানে চেয়ারম্যানই দায়িত্বে থাকেন। ওয়ার্ড পরিষ্কার করার দায়িত্ব থাকে সুপারভাইজারদের উপর। তাঁরা সব দেখেশুনে করিয়ে নেন।’’

Municipality Service Councillor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy