Advertisement
E-Paper

বিশৃঙ্খলায় প্ররোচনা, অভিযুক্ত কাউন্সিলর

পুরসভার পলিক্লিনিককে ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থামছেই না কাটোয়ায়। তার জেরে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৬ ০১:৪৪

পুরসভার পলিক্লিনিককে ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থামছেই না কাটোয়ায়। তার জেরে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও।

শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান ওই এলাকার বাসিন্দারা। মহকুমাশাসক, পুরপ্রধান ও কাটোয়া থানার ওসির কাছে বিসি রায় পলিক্লিনিকে বিশৃঙ্খলার চলছে বলে অভিযোগপত্রও জমা দেন। তাঁদের অভিযোগ, গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই পলিক্লিনিকের অস্থায়ী কর্মচারী অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শৌভিক মল্লিক আশেপশের বাড়ির লোকজনের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করে। ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তিও করেন। মহিলারা আপত্তি জানিয়ে ওই পলিক্লিনিকের কর্মচারী আবু হোসেন আলি ওরফে গোলাপকে বিষয়টি বলতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয়। এমনকী, গোলাপ ফোন করে আরও কিছু লোকজন ডেকে এনে ঝামেলা করে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভাস্কর মণ্ডলের প্ররোচনায় পরিকল্পনা মাফিক ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ভাস্করবাবুর প্ররোচনাতেই সাহেব মুখোপাধ্যায়, রণদীপ ঘোষ, নীলকান্ত চক্রবর্তী, সফিক শেখ, সুনির্মল মণ্ডল, শান্তনু ঘোষেরা একজোটে মহিলাদের মারধর, শ্লীলতাহানি করে বলেও তাঁদের দাবি। প্রতিবাদ করলে বাড়ির ছেলেদের খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও তাঁদের অভিযোগ। পরে তাঁরা এলাকার কাউন্সিলর শ্যামলবাবুকে ফোনে বিষয়টি জানান। শ্যামলবাবুর ফোন পেয়ে পুরপ্রধান এংর রাম ও কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আর এক কাউন্সিলর ভাস্কর মণ্ডলের দলবল এলাকা ছেড়ে পালায় বলেও বাসিন্দাদের দাবি। মারধরে, শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অলোক, নীলকান্ত, শৌভিকের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়। এ দিন শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘আমরা চাই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।’’

তবে যাঁর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ সেই ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘সব মিথ্যা।’’ তাঁর দাবি, ঝামেলার পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। তখন সেখানে পুলিশ, পুরপ্রধানও হাজির ছিলেন। পুরপ্রধান অমর রাম আবার কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুরের বিরুদ্ধে পলিক্লিনিকে হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘৪ এপ্রিল জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, রাজেশ শেখ, ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ, বিবেকানন্দ ঠাকুরেরা শ্যামল ঠাকুরের নেতৃত্বে পলিক্লিনিকে হামলা চালায়। বোর্ড অফ কাউন্সিল আগেও শ্যামলবাবুকে সতর্ক করেছিল। আজ যা অভিযোগ করা হয়েছে সব মিথ্যা। এই ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বোর্ড নেবে।’’ কাটোয়া থানার ওসি সঞ্জীব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

chaos Councilor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy