Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Suicide

বিছানায় স্ত্রীর দেহ, সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত স্বামী

তাঁর বাবা সনাতন পান বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রুইপুরে ছেলের শ্বশুরবাড়িতে পুজোর জামাকাপড় দিয়ে এসেছি। ছেলে-বৌমাও আমার সঙ্গে গিয়েছিল। ওখান থেকে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে শুতে গেল। তার পরে এ দিন সকালে এমন ভয়ানক কাণ্ড!’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম ও নানুর শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৯
Share: Save:

বিয়ে হয়েছিল মাস দেড়েক আগে। তার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য হচ্ছিল, দাবি পরিবারের। বুধবার সকালে কেতুগ্রামের নবগ্রামে বাড়িতে উদ্ধার হল নবদম্পতির দেহ। বিছানায় পড়েছিল স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে স্বামীর দেহ। স্ত্রীকে খুন করে যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ নবগ্রামের পানপাড়ায় দম্পতিকে ডাকাডাকি করেন পরিজনেরা। দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজা ভেঙে মেলে সন্তোষ পান (৩২) ও টুসি পানের (২২) দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টুসির গলা ও হাতের শিরা কাটা ছিল। সন্তোষের গলাতেও ক্ষতচিহ্ন ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে গয়না গড়ার কাজ করতেন সন্তোষ। মাস দেড়েক আগে তাঁর বিয়ে হয় বীরভূমের নানুরের দাসকল ১ পঞ্চায়েতের রুইপুর গ্রামের টুসির। আট বছর আগে টুসির বাবা বুদ্ধদেব ঘোষের মৃত্যু হয়। মা মারা যান বছর ছয়েক আগে। টুসি চার বোনের মধ্যে ছোট। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে কাকা উদ্ধদেব ঘোষের কাছে থাকতেন টুসি ও তাঁর দুই দিদি। এক দিদির আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।

বিয়ের পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন সন্তোষ। তাঁর বাবা সনাতন পান বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রুইপুরে ছেলের শ্বশুরবাড়িতে পুজোর জামাকাপড় দিয়ে এসেছি। ছেলে-বৌমাও আমার সঙ্গে গিয়েছিল। ওখান থেকে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে শুতে গেল। তার পরে এ দিন সকালে এমন ভয়ানক কাণ্ড!’’ মা সনকাদেবী দাবি করেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই ছেলেকে অপছন্দ করত বৌমা। ফুলশয্যার দিন ওকে ঘরেও ঢুকতে দেয়নি। ছেলে তাতে অপমানিত বোধ করত।’’ সন্তোষের জেঠতুতো দাদা বিবেকানন্দ পান বলেন, ‘‘ওদের মধ্যে কখনও ঝগড়া হতে দেখিনি। সবে বিয়ে হল, তার মধ্যেই জীবন শেষ করে দিল!’’ টুসির কাকা উদ্ধদেববাবুর সঙ্গে এ দিন চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা বর্ধমান রওনা হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্ত হয়। রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide Couple Marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE