E-Paper

কর্মসূচি দানিশের নামে, ‘মিম’ তৈরি শেখাবে সিপিএম

সিপিএম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিবিরে মিম তৈরি, ছবি-ভিডিয়ো সম্পাদনা, ‘রিলস’ তৈরি, কোনও বিষয়কে ভাইরাল করতে কী ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হবে, তা শেখানো হবে।

সুব্রত সীট

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:২৩
Program

কর্মসূচির প্রচারপত্র। নিজস্ব চিত্র

সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য প্রচার করতে ‘ডিজিটাল ডিসকাশন’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম। আজ, রবিবার দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোডে প্রথম শিবিরটি আয়োজিত হওয়ার কথা। তবে সিপিএমের এ সব কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও তৃণমূল।

কিন্তু এই কর্মসূচিটি আদতে কী? সিপিএম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিবিরে মিম তৈরি, ছবি-ভিডিয়ো সম্পাদনা, ‘রিলস’ তৈরি, কোনও বিষয়কে ভাইরাল করতে কী ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হবে, তা শেখানো হবে। শেখাবেন জেলা ও রাজ্যের পাঁচ জনের বিশেষজ্ঞ দল। শেখানো হবে দলের বক্তব্য কী ভাবে তুলে ধরতে হয়, সেই কৌশলও। পুরো কর্মসূচিটির নামকরণ করা হয়েছে পুলিৎজ়ারজয়ী নিহত চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকীর নামে।

কেন এমন পরিকল্পনা? জেলায় পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৬২টি। আসন সংখ্যা প্রায় এক হাজার। পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা আটটি। আসন ১৭২টি। জেলা পরিষদের আসন ১৮টি। আসানসোল পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডে বুথের সংখ্যা ১০৬৭টি। দুর্গাপুর পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডে বুথ ৫১২টি। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানান, সামনেই পঞ্চায়েত ও দুর্গাপুর পুরভোট। তার আগে প্রতি ওয়ার্ডে, প্রতি বুথে, সব এলাকায় ‘সোশ্যাল মিডিয়া ভলান্টিয়ার’ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, একেবারে নিচুতলার তথ্য উঠে আসবে উপর পর্যন্ত। আবার উপর থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে যাবে নিচুতলায়। আবার নির্বাচনের সময় কোথাও সন্ত্রাস বা ভোটলুটের ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেই খবর, ভিডিয়ো, রিলস ছড়িয়ে যাবে।

আজ, রবিবার প্রথম শিবিরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা পঞ্চায়েত ও পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ন্যূনতম এক জন করে জেলার মোট ১৬২ জন দলীয় কর্মী, সমর্থকের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতি, তাঁদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে পঞ্চায়েত সমিতি ও বরো স্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

যদিও, সিপিএমের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা দুর্গাপুরের পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই এ সব করছে। ঘরে বসে ‘ডিসকাশন’ হতে পারে, মানুষের জন্য কাজ হয় না।” বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূলকে হটাতে পারে বিজেপি। রাজ্যবাসী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাই সিপিএমের কর্মসূচি নিয়ে মাথাব্যথা নেই।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPM Social Media

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy