Advertisement
E-Paper

দুর্নীতি, মার সিপিএমের উপপ্রধানকে

উপপ্রধানের অভিযোগ, “তখনও প্রধান আসেননি। হঠাৎ তৃণমূলের দুই নেতার উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতে ঢুকে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন। চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুঁষি মেরে আমাদের বের করে দেওয়া হয়।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০১:২২
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে মেমারির গোপগন্তার ১ পঞ্চায়েতের ঘটনা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রাতে ওই উপপ্রধান ক্ষুদিরাম কোঁড়া মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মেমারি ১ বিডিও শৈলশেখর ঘোষ বলেন, “ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করা হবে।”

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনায় এই পঞ্চায়েত দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫১টি ঘর তৈরির অনুমোদন পেয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে কারা পাবেন তার একটা তালিকা ব্লক অফিসে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিডিও তা মানেননি। আর্থ সামাজিক সমীক্ষা অনুযায়ী তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো পঞ্চায়েত ৭ জন সিপিএম ও ২ জন তৃণমূল সদস্যকে নিয়ে তালিকা তৈরির বৈঠক ডাকেন। অভিযোগ, সোমবার বৈঠক শুরুর আগে গন্তার গ্রামের তৃণমূলের তিরিশ-চল্লিশজন বাসিন্দা পঞ্চায়েত দফতরে ঢুকে হামলা চালায়। উপপ্রধান ও সদস্যদের মারধর করে ভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়। মারের হাত থেকে বাদ যায়নি পঞ্চায়েতের কর্মীরাও।

উপপ্রধানের অভিযোগ, “তখনও প্রধান আসেননি। হঠাৎ তৃণমূলের দুই নেতার উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতে ঢুকে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন। চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুঁষি মেরে আমাদের বের করে দেওয়া হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলের অন্যায় দাবি না মেনে সরকারের নির্দেশ মানার জন্যই আমাকে মারা হল।” আর এক সদস্য সঞ্জীব অধিকারীও বলেন, “রাজ্য সরকারের নিয়ম মানতে গিয়েই আমাদের শাসক দলের হাতেই মার খেতে হল!” তৃণমূল নেতৃত্বকে বিষয়টি জানান তাঁরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগে জনরোষে পড়ে ওই উপপ্রধান বিডিও-র কাছে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোনারের দাবি, “ভয় দেখিয়ে উপপ্রধানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে তৃণমূলের লোকেরা। আমরা বিষয়টি বিডিওর এনেছি।” উপপ্রধানের ‘গায়ে হাত দেওয়ার’ কথা মেনে নিয়েছেন গোপগন্তার ১ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি প্রবীর রায়। তিনি বলেন, “সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। এলাকার কোনও মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। সে জন্যই জনরোষে উপপ্রধান আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেই স্বেচ্ছায় বিডিও-র কাছে পদত্যাগ দিয়েছেন।” বিডিও অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগের কোনও চিঠি হাতে পাননি।

CPM beaten TMC corruption মেমারি Memari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy