রানিগঞ্জ থানার সামনে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র।
সাধারণ ধর্মঘটের দিন পুলিশের হাতে ‘হেনস্থা’র শিকার হতে হয়েছে। এর প্রতিবাদ-সহ অবৈধ বালি, কয়লা, লোহার কারবার বন্ধ করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে রবিবার জেলার সব থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দিল সিপিএম। সকাল থেকেই শুরু হয় কর্মসূচি। এক এক থানায় এক এক সময়ে বিক্ষোভ হয়।
সিপিএমের অভিযোগ, ২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘটের দিন পুলিশ বন্ধ সমর্থকদের উপরে চড়াও হয়। দুর্গাপুরে ডিভিসি মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জের অভিযোগ মানেনি। এ দিন থানায় বিক্ষোভের সময়ে সিপিএমের তরফে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া, এ দিন সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়, অবৈধ বালি, কয়লা, লোহার কারবার বন্ধে পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দিলীপ সরকার, অর্পণ মুখোপাধ্যায়, নির্গুণ দুবে খুনের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়।
কোকআভেন থানায় বিক্ষোভ হয় সন্ধ্যায়। থানার সামনে মশাল জ্বেলে বিক্ষোভ দেখানোর পরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছে সাধারণ ধর্মঘটের দিনে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন যা করা হয়েছে তা নিয়ম মেনেই। তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পায়ের তলায় মাটি নেই সিপিএমের। তাই ছোটখাট বিষয় নিয়ে সরব হচ্ছে।’’
এ দিন বিক্ষোভ হয়েছে অণ্ডল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বরেও। অভিযোগ, রানিগঞ্জর টিরাট, দামালিয়া, নূপুর, অণ্ডালের মদনপুর, রামপ্রসাদপুরে ও পাণ্ডবেশ্বরের রামনগর ঘাট-সহ দু-দিন তিন জায়গায়, জামুড়িয়ার বাঘডিহা, সিদ্ধপুর, শ্যামলা পঞ্চায়েত এলাকা, দরবারডাঙা ঘাটে অবাধে বালি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এতে এলাকার বিভিন্ন রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া, রাতের দিকে বেশকিছু বৈধ খনি থেকে কয়লা চুরি করে পাচারের ঘটনাও ঘটছে। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, চুরি রুখতে অভিযান চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy