Advertisement
E-Paper

নন্ডিতে ফাটল, আতঙ্ক

বিস্ফোরক রাখার গুদামের কাছেই ধসের জেরে ফাটল তৈরি হয়েছে জামুড়িয়ার নন্ডি গ্রামের হুড়মাডাঙা এলাকায়। বেআইনি ভাবে কয়লা কাটার জেরে এই ফাটল হয়েছে বলে অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৭
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জমিতে ফাটল। শুক্রবার নন্ডির হুড়মাডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জমিতে ফাটল। শুক্রবার নন্ডির হুড়মাডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

বিস্ফোরক রাখার গুদামের কাছেই ধসের জেরে ফাটল তৈরি হয়েছে জামুড়িয়ার নন্ডি গ্রামের হুড়মাডাঙা এলাকায়। বেআইনি ভাবে কয়লা কাটার জেরে এই ফাটল হয়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। আসানসোল পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকায় গোটা চল্লিশ পরিবারের বাস। ১৯৮৯ সালে জামুড়িয়ার দামোদরপুরের বাসিন্দা নাজমা বেগম হুড়মাডাঙায় বিস্ফোরকের গুদাম করার অনুমোদন পান। সেখানে মজুত রাখা বিস্ফোরকের বেশিরভাগই ইসিএল এবং অন্য খনি সংস্থার অনুমোদিত ডিলারদের বিক্রি করা হয় বলে জানান নাজমার স্বামী সৈয়দ মহম্মদ আমির।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গুদাম লাগোয়া ফাঁকা জমিতে প্রায় একশো কুয়ো খাদান তৈরি করেছে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধসের জেরে ফাঁকা জমিতে প্রায় একশো মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দেয়। শুক্রবার তা আরও বে়ড়েছে। কোনও ভাবে অবৈধ খনিতে আগুন লাগলে তা গুদাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি ওই বাসিন্দাদের। সেক্ষেত্রে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটে বিপন্ন হবে জনপদ।

আমির জানান, তাঁরা ২০১৮ সালের অগস্টে জামুড়িয়া থানায় সাত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে খনি চালানোর অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে পুলিশ মামলা রুজু করে। তার পরে কেউ গ্রেফতার না হলেও আসানসোল আদালতে মামলা চলছে। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়ে অভিযুক্তদের বেআইনি খননে দায়ী বলে জানিয়েছে। পুলিশ কয়েক বার কিছু খনিমুখ ভরাট করে গেলেও পরে সেগুলি ফের চালু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ আমিরের।

আমির জানান, গুদামের উত্তরে প্রায় সাড়ে ছ’শো মিটার দূরে জনবসতি রয়েছে। দক্ষিণে আধ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে রেললাইন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘খাদানের রমরমা বাড়ছে। তা ক্রমশ গুদামের দিকে এগিয়ে আসছে। দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে হুমকি দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আবার জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠিও পাঠিয়েছি।’’

সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত অভিযোগ করেন, শাসকদলের মদতে দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তা এই ঘটনাতেও পরিষ্কার। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য দাবি করেন, ‘‘পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়। কোথাও কয়লা চুরির ঘটনা ঘটছে না।’’ পুলিশ জানায়, খবর পেলেই অভিযান চালিয়ে বেআইনি খাদান বন্ধ করা হচ্ছে।

Crack Road Trouble Asansol CPM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy