Advertisement
E-Paper

সরকারি প্রকল্পের বাড়িতে ফাটল, ক্ষোভ

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, গত আর্থিক বছরে ওই প্রকল্পে ৯৯৮টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন মেলে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই বেশ কয়েকজন উপভোক্তা অভিযোগ করেন, ছাদের নীচে ফাটল ধরেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৪
নবনির্মিত বাড়িতে ফাটল বোজানো হয়েছে এই ভাবে। নিজস্ব চিত্র

নবনির্মিত বাড়িতে ফাটল বোজানো হয়েছে এই ভাবে। নিজস্ব চিত্র

‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে গুসকরায়। ক্ষোভ ছড়িয়েছে উপভোক্তা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। বাড়ি তৈরির সময় ‘দেখভালের’ দায়িত্ব যাদের উপরে বর্তায়, গুসকরা পুরসভার সেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক আকলিমা খাতুনের দাবি, “প্রকল্পে উপভোক্তাদের সরকারি অর্থে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা। কিন্তু পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের দেখভালের দায়িত্বের কথা অস্বীকার করা যায় না। তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা করা হয়েছে।’’ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা অবশ্য কোনও কথা বলতে চাননি। রাজ্য পুর উন্নয়ন সংস্থা ও মহকুমা প্রশাসন (বর্ধমান উত্তর) জানিয়েছে, পুজোর ছুটির পরেই পুরসভার কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হবে।

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, গত আর্থিক বছরে ওই প্রকল্পে ৯৯৮টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন মেলে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই বেশ কয়েকজন উপভোক্তা অভিযোগ করেন, ছাদের নীচে ফাটল ধরেছে। তাঁদের দাবি, ‘‘খাতায়-কলমে আমাদের বাড়ি তৈরি করার কথা। কিন্তু বাস্তবে কয়েকজন ঠিকাদার প্রায় জোর করে আমাদের কাছ থেকে পাসবই ছিনিয়ে নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে। তারপরে এ রকম বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে।’’ পুরসভাতে বেশ কয়েকবার জানানো হলেও কেউ কান দেয়নি বলেও তাঁদের দাবি। সুশীলা পূর্বপাড়ার নরেশ সাউ, ধারাপাড়ার আমালউদ্দিন শেখদের দাবি, “দেখে বোঝার উপায় নেই নতুন বাড়ি!’’ কাজ সম্পূর্ণ হয়নি, এমন বাড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ লালবাবু শেখ, তারকেশ্বর কুর্মিদের।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও। সিপিএমের গুসকরা শহরের নেতা মনোজ সাউয়ের অভিযোগ, “উপভোক্তাদের ঘর তৈরি করতে দিচ্ছে না তৃণমূল। ঠিকাদারার গায়ের জোরে ঘর তৈরি করে টাকা আদায় করছে। তার ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’’ সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া, গুসকরার প্রাক্তন পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াইয়েরও দাবি, “কাটমানি আর দুর্নীতিতে ঢেকে গিয়েছে পুরসভা। এ সব তার প্রতিফলন।’’ পুরসভার পূর্ত দফতরের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “বেশ কিছু উপভোক্তা এ রকম সমস্যায় পড়েছেন। পুরসভাকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’

বিদায়ী পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের দাবি, “পুরসভার দেখভালের অভাবের জন্যেই উপভোক্তারা সমস্যায় পড়ছেন।’’ নির্বাহী আধিকারিকের আশ্বাস, প্রাথমিক ভাবে উপভোক্তাদের বাড়িতে জলছাদ করে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।

Housing Project House Scam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy