Advertisement
E-Paper

করোনা রোগীর মৃত্যু, দেহ মর্গেই

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, “মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে ওই বৃদ্ধের বাড়ি। নানা রোগ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট আসার পরেই তিনি মারা যান।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০০:৩০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জেলায় প্রথম করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু হল মঙ্গলবার রাতে। সত্তর বছরের ওই বৃদ্ধের শেষকৃত্য কোথায় করা হবে, তা নিয়ে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জেলা প্রশাসন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে দেহটি কফিন-বন্দি করে রাখা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত ১৯৪ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে জেলায়। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১৬৪ জন। করোনা-হাসপাতালে রয়েছেন ২৬ জন।

জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, “মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে ওই বৃদ্ধের বাড়ি। নানা রোগ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট আসার পরেই তিনি মারা যান।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, সোমবার ওই বৃদ্ধের ‘স্ট্রোক’ হয়। তাঁকে প্রথমে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ওই দিন বিকেলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। করোনা-উপসর্গ থাকায় তাঁকে হাসপাতালের ভিতরে ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে গড়ে তোলা ‘সারি’ (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার পরীক্ষা করার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় ওই রিপোর্ট আসার পরেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও জামাই। প্রত্যেকে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ রয়েছেন। বাড়ি সংলগ্ন এলাকাটিকে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত বৃদ্ধের গ্রামেই চায়ের দোকান ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সে কারণে বাড়ির বাইরে বিশেষ বেরোতেন না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বৃহস্পতিবার মৃতের ছেলের করোনা-পরীক্ষা করা হবে। তার রিপোর্ট পেলে কী ভাবে ওই বৃদ্ধ আক্রান্ত হলেন, তা জানা যাবে।’’ মৃতের ছেলে এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসায় মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স মিলিয়ে তিন জন ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাত জনকে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, “চিকিৎসক-নার্স ছাড়া, কারা-কারা ওই বৃদ্ধের সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’

coronavirus covid 19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy