Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জলস্তর নেমেছে, সমস্যা পারাপারে

ব্যবসা হোক বা স্কুল-কলেজ, দৈনন্দিনের নানা কাজে ভাগীরথী পারাপার করতে হয় অনেককে। গঙ্গাস্নানের জন্যও কাটোয়ার বিভিন্ন ঘাটে ভিড় জমান বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। উৎসবের সময় তো আশপাশের জেলা থেকেও আসেন অনেকে। তবে এ বার বৈশাখের শুরুতেই নদীর জলস্তর কমে বিপাকে পড়েছে ফেরি চলাচল।

জল কমে বেরিয়ে পাথর। রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নিজস্ব চিত্র।

জল কমে বেরিয়ে পাথর। রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা,
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৬ ০১:১৯
Share: Save:

ব্যবসা হোক বা স্কুল-কলেজ, দৈনন্দিনের নানা কাজে ভাগীরথী পারাপার করতে হয় অনেককে। গঙ্গাস্নানের জন্যও কাটোয়ার বিভিন্ন ঘাটে ভিড় জমান বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। উৎসবের সময় তো আশপাশের জেলা থেকেও আসেন অনেকে। তবে এ বার বৈশাখের শুরুতেই নদীর জলস্তর কমে বিপাকে পড়েছে ফেরি চলাচল। স্থানীয় বাসিন্দাদারে দাবি, স্নান করতে এসেও জেগে ওঠা পাথরে লেগে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

কাটোয়ার দেবরাজ ঘাট, বাজার ঘাট, গোয়ালপাড়া ঘাট ঘুরে জানা যায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। কারও বড় পাথরে পা আটকে যাচ্ছে পা। কেউ জলের গভীরতা বুঝতে না পেরে পড়ে আহত হচ্ছেন। দেবরাজ ঘাটে স্নান করতে আসা স্থানীয় সরস্বতী ঘোষ বলেন, ‘‘বাঁধানো ঘাট থেকে অনেকটা নেমে গিয়ে স্নান করতে হচ্ছে। অসুবিধে তো হচ্ছেই তলিয়ে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে।’’ বাসিন্দারাই জানান, গত ২০ এপ্রিল গোয়ালপাড়া ঘাটে স্নান করতে নেমে ডুবে মারা গিয়েছেন এক ব্যক্তি।

জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে নৌকা চলাচলেও। নৌকায় ওঠা-নামা, বিভিন্ন মালপত্র ও সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে যেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ব্যবসার কাজে প্রতিদিন বল্লভপাড়া থেকে নৌকা করে কাটোয়া আসেন লাল্টু ধাড়া। তিনি জানান, ‘‘জল নেমে যাওয়ায় অনেকটা আগেই নৌকা আটকে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে মোটরবাইক নিয়ে ঘাটের উপরে উঠতে।’’ অভিযোগ রয়েছে ঘাটগুলির পরিচ্ছন্নতা, স্নানঘর, শৌচালয় নিয়েও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেবরাজ ঘাটের স্নানঘরটি মোটামুটি ব্যবহারযোগ্য হলেও গোয়ালপাড়া ঘাট, রক্ষাকালী ঘাটের শৌচালয় ও স্নানঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। শাঁখাই ঘাটে কোনও শৌচাগার নেই। শ্মশান ঘাটে শৌচাগার থাকলেও তা অধিকাংশ সময় তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার তরফে শৌচাগারটি যাকে লিজ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন উৎসবের সময় ছাড়া অন্য সময় তিনি তা তালা বন্ধ করেই রাখেন। ফলে শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে পারেন না সাধারণ মানুষ।

পুরপ্রধান অমর রামের অবশ্য দাবি, ঘাটগুলি নিয়মিত পরিষ্কারের রাখার জন্য পুরসভার তরফে কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন ঘাটের বেহাল শৌচালয় ও স্নানঘরগুলি নিয়ে তিনি কোনও অভিযোগ পাননি। পুরসভার তরফে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামাই পাড়ায় নতুন ঘাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bhagirathi water level
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE