Advertisement
০৬ মে ২০২৪

ডুবেছে সাঁকো, বন্ধ স্কুলে যাওয়া

রোজকার মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া সার্থক ধারা। কিন্তু পথে বিপত্তি। বাঁশের সাঁকোটা ডুবে গিয়েছে জলে।— ফি বছরই ব্রহ্মাণী নদীর জলে এমন হাল হয় কাটোয়ার দেয়াসিন ও মালঞ্চ গ্রামের মাঝের সাঁকোটির।

যাতায়াতের ভরসা এখন নৌকা। নিজস্ব চিত্র।

যাতায়াতের ভরসা এখন নৌকা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৪
Share: Save:

রোজকার মতো স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া সার্থক ধারা। কিন্তু পথে বিপত্তি। বাঁশের সাঁকোটা ডুবে গিয়েছে জলে।— ফি বছরই ব্রহ্মাণী নদীর জলে এমন হাল হয় কাটোয়ার দেয়াসিন ও মালঞ্চ গ্রামের মাঝের সাঁকোটির। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, কংক্রিটের সেতু করার জন্য বহুবার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।

নদীর এক দিকে দেয়াসিন, খাসপুর এবং অন্য দিকে মালঞ্চ, মেয়োগাছি গ্রাম। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রহ্মাণী। বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পরে সাঁকোর বেশির ভাগ অংশই জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে কাটোয়া ২ ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের ওই চারটি গ্রামের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

বাসিন্দারা জানান, দেয়াসিন গ্রামে হাজার তিনেক ও মালঞ্চ গ্রামে প্রায় হাজার দু’য়েক লোক বাস করেন। মালঞ্চ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, স্কুল, খাসপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পোস্ট অফিস-সহ বিভিন্ন জায়াগায় যেতে গেলে সাঁকো পেরিয়ে দেয়াসিন ও অন্যান্য জায়গায় যেতে হয়। মালঞ্চ গ্রামের স্বপন মাঝি, উৎপল ঘোষদের আক্ষেপ, ‘‘দেয়াসিন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে গ্রামের ছেলেরা পড়তে যায়। সাঁকো ডুবে যাওয়ায় চার দিন ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ।’’

সাঁকো ডুবে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন দেয়াসিন গ্রামের বাসিন্দারাও। ওই গ্রামের বাসিন্দা সহদেব মাঝির জানান, তাঁর নাতি মেয়োগাছির স্কুলের ছাত্র। সে স্কুলে যেতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক, নবীন মাঝিদের ক্ষোভ, ‘‘ফি বছর বর্ষাতেই এই হাল হয়। বারবার আবেদন করেও কংক্রিটের সেতু হল না। গত বছর তো বেশি বৃষ্টিতে সাঁকো ভেঙে গিয়েছিল।’’

কাটোয়া ২ ব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকারের আশ্বাস, ‘‘পাকা সেতু তৈরির জন্য সাংসদ কোটায় ২কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। আগামী বছর বর্ষার আগেই সেতু তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE