এক সপ্তাহ পরেও জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপে। রবিবার সকালে ৭ নম্বর জলাধারে সংস্থার আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পুলিশ এবং সিআইএসএফ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পুরসভার তরফে পাঁচ জন কারিগরি কর্মী শুক্রবার থেকে পাইপ মেরামতিতে হাত লাগিয়েছেন। শনিবার পাইপের জোড়ের মুখে কাঁচা ঢালাই বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়।
গাঁধী মোড়ের কাছে ডিএসপি-র জলের লাইনের প্রধান একটি পাইপে ফাটল ধরায় সরবরাহ ব্যাহত হয় ৬ মে। সে দিন থেকে জলকষ্টে ভুগতে শুরু করেন টাউনশিপের কয়েক হাজার বাসিন্দা। ডিএসপি ছাড়াও ট্যাঙ্কারে করে এলাকায় জল পাঠানো শুরু করে পুরসভা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নানা সংস্থা। জেলা প্রশাসনের তরফে ডিএসপি-কে পাইপ মেরামতির কাজে প্রয়োজনে পুরসভা এবং এডিডিএ-র সাহায্য নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে ডিএসপি নিজেরাই কাজ চালিয়ে যায়।
ডিএসপি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের পুরনো পাইপলাইনে মেরামতির সরঞ্জাম বর্তমানে বাজারে মেলে না। তাই বোকারো, বার্নপুর থেকে সামগ্রী ও দক্ষ কর্মী আনা হয়। রাত-দিন কাজ করেও এক সপ্তাহে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে পারেননি তাঁরা। ডিএসপি কর্তৃপক্ষের দাবি, সাময়িক মেরামতি করতে এত সময় লাগত না। কিন্তু তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাইছেন। এর আগেও গাঁধী মোড়ে পাইপ ফাটার ঘটনা ঘটেছে একাধিক বার। তাই যেখানে একশো মিটার পাইপ পাল্টালে কাজ হবে, তাঁরা প্রায় দেড়শো মিটার পাইপ বদলে দিচ্ছেন। তাছাড়া পাইপলাইনের বেশ কিছু অংশ নির্মীয়মাণ ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ভিতরে পড়ায় খোঁড়াখুঁড়িতে সমস্যা হচ্ছে।
পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা জল দফতরের মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ডিএসপি-র আর্জিতে পুরসভা থেকে পাঁচ জন টেকনিসিয়ানকে পাঠানো হয়েছে। শনিবার পাইপলাইন মেরামতির পরে জোড়ের মুখে ঢালাই দেওয়া হয়। কিন্তু বিকেলের তুমুল বৃষ্টিতে সেই ঢালাই ধুয়ে যায়। রবিবার ফের সেখানে ঢালাই করা হয়।
অবিলম্বে জলের দাবিতে এ দিন সকালে ৭ নম্বর জলাধারে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসপি আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এবং সিআইএসএফ যায়। ডিএসপি-র আশ্বাস, মেরামতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।