‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির প্রথম দিনই একাধিক স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন শিবির অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের নজরে এসেছে, ওই শিবিরের কারণে বর্ধমানের রথতলা মনোহর দাস হাই স্কুল থেকে শুরু করে কেতুগ্রামের স্যর আশুতোষ মেমোরিয়াল স্কুলের পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কাটোয়ার পানুহাট রাজমহিষী হাই স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। আবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জ্যোৎশ্রীরাম হাই স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন শিবির করা হলেও বর্ধমান ২ ব্লক প্রশাসন আবার স্কুলকে কোনও নোটিস করেনি। এ নিয়ে শিক্ষামহলে বিতর্ক বেধেছিল।
মঙ্গলবারই এক বৈঠকে জেলাশাসক আয়েষা রানি এ পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে শিবির করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। বুধবার তিনি বলেন, “এ নিয়ে সবাইকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, যে সব স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন শিবিরের কথা ভাবা হয়েছিল, সে সব স্কুলে শিবির পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিংবা কমিউনিটি হলে শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভাগুলি অনুষ্ঠান বাড়িতে শিবির করার উপরে জোর দিয়েছে। জেলাশাসকের এই সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষামহল। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস’-র জেলার সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ দাশগুপ্ত বলেন, “পরীক্ষার্থীদের সমস্যায় ফেলে এ ধরনের শিবির না করাই উচিত। সরকারি শিবিরের জন্য পরীক্ষা বন্ধ করা উচিত নয়। আলোচনা না করেই ব্লক প্রশাসন স্কুল নিয়ে নেয়, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকের সিদ্ধান্ত ঠিক।” তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি অতনু নায়েকও জেলাশাসকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)