Advertisement
১৯ মে ২০২৪

কাজ করেও মেলেনি টাকা, চিঠি প্রৌঢ়ার

পানাগড় বাজারের পূর্ব ক্যানালের ওই প্রৌঢ়া লক্ষ্মী রাও জানান, এ বছর ৬৬ দিন কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কাজ করা অন্য শ্রমিকেরা ব্যাঙ্ক মারফত টাকা পেয়ে গেলেও, তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢোকেনি। পঞ্চায়েতে খোঁজখবর করলে জানানো হয়, তাঁর কাজের সব কাগজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনও সমস্যা নেই। পরে তিনি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ১৮:০০
Share: Save:

দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজ করছেন তিনি, অথচ বছর খানেক ধরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢুকছে না। এমনই অভিযোগ তুললেন কাঁকসার পানাগড় বাজার এলাকার এক প্রৌঢ়া। তাঁর দাবি, প্রাপ্য টাকার জন্য পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনে সর্বত্র তদ্বির করেও মজুরির টাকা মেলেনি।

পানাগড় বাজারের পূর্ব ক্যানালের ওই প্রৌঢ়া লক্ষ্মী রাও জানান, এ বছর ৬৬ দিন কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কাজ করা অন্য শ্রমিকেরা ব্যাঙ্ক মারফত টাকা পেয়ে গেলেও, তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢোকেনি। পঞ্চায়েতে খোঁজখবর করলে জানানো হয়, তাঁর কাজের সব কাগজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনও সমস্যা নেই। পরে তিনি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন। লক্ষ্মীদেবীর এক প্রতিবেশী ধর্মেন্দ্র শর্মা জানান, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রথমে কোনও সমস্যা শুনতে চাননি। তাঁরা ব্লক প্রশাসনে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে লক্ষ্মীদেবী কাঁকসার বিডিও-র কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। লক্ষ্মীদেবী বলেন, ‘‘আমরা খুবই গরিব। এতগুলো টাকা পাওয়া না গেলে, না খেয়ে মরতে হবে।’’

কাঁকসা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীদেবীর আধার কার্ডের সঙ্গে ব্যাঙ্কের লিঙ্ক করতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে। অন্য জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর নম্বরটি জুড়ে গিয়ে, লক্ষ্মীদেবীর প্রাপ্য টাকা ওই অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। তবে বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, তাঁদের তরফে ব্যাঙ্ককে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীদেবী তাঁর প্রাপ্য টাকা পেয়ে যাবেন। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেও তাঁর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Money একশো দিনের কাজ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE