এ ভাবেই ঘটেছে বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র
কয়লাবোঝাই করে ডাম্পার নিয়ে চলেছিলেন এক চালক। আচমকা বুঝতে পারলেন, ধস নেেমছে। মাটিতে ঢুকে যাচ্ছে ডাম্পার। মুহূর্তের মধ্যে পাশের দরজা খুলে ঝাঁপ দেন ভগবান পাসোয়ান নামে ওই ডাম্পার-চালক। দেখা যায়, ডাম্পারের একাংশ মাটিতে ঢুকে গিয়েছে। জ্বলছে আগুনও। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার শঙ্করপুর-ছোড়া খোলামুখ খনির ঘটনা।
খনি সূত্রে জানা যায়, এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ভগবান পাসোয়ান কয়লাবোঝাই ডাম্পারটি চালাচ্ছিলেন। আচমকা, ধস নেমে বিপত্তি ঘটে। ভগবানবাবুর সহকর্মী রামসাগর সাউ, পতিত রামেরা জানান, অদূরেই তাঁরা অন্তত ৫০ জন কাজ করছিলেন। আচমকা ভগবানবাবুকে ঝাঁপাতে দেখে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। রামসাগরবাবু বলেন, “যেখানে কয়লা কাটা হচ্ছে, তার কাছেই দীর্ঘদিন ধরে আগুন জ্বলছে। এলাকাটি ধসপ্রবণও। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ওই এলাকার কাছাকাছি কয়লা কাটতে নিষেধ করলেও কর্তৃপক্ষ তাতে কান দেননি। কর্মী সুরক্ষা নিয়ে উদাসীন ইসিএল।’’ ভগবানবাবুর কথায়, “ভাবতেই পারছি না, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি।’’
এই ঘটনার পরে খনির নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিটু নেতা তুফান মণ্ডল, উখড়া কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের এরিয়া সম্পাদক গোপীনাথ নাগেরা জানান, এর আগে ২০১০-এ ইসিএলের ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে জামুড়িয়ার বেলবাঁধ খোলামুখ খনির একাংশে জ্বলতে থাকা আগুন দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষী সুভাষ গৌর। সুভাষবাবু আগুনে হারিয়ে যান। তাঁর দেহও মেলেনি। তার পরেও কর্তৃপক্ষের যে হুঁশ ফেরেনি, এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ।
যদিও বিষয়টি নিয়ে ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ঘটনাটি ঠিক কী, সে বিষয়ে জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy