প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাসের মাথায় চড়ে যাতায়াত। জামুড়িয়ার তপসিতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
পুলকার নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি গড়ে তুলতে পুলকার মালিক ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করল দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষ মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুলকার মালিক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাসের মধ্যে সব পুলকারের ‘ফিটনেস’ নিশ্চিত করতে হবে। শহরের সব পুলকারের একটি নির্দিষ্ট রং করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১২ বছর পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে আসনের তুলনায় দেড়গুণের বেশি পড়ুয়া বহন করা যাবে না। পুলকার অনুযায়ী পড়ুয়াদের ফোন নম্বর, ঠিকানা উল্লেখ করে তার তালিকা তৈরি করা হবে। পুলকার চালকদের নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র থাকবে। প্রতি কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া নির্দিষ্ট করতে হবে। যে সমস্ত ব্যক্তিগত গাড়ি পুলকার হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেগুলির বাণিজ্যিক অনুমোদনের ব্যবস্থা করার জন্য চার মাস পর্যন্ত সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুলকার মালিকদের দাবি, যথাযথ পরিষেবা তাঁরাও দিতে চান। কিন্তু অভিভাবদের একাংশ ভাড়া বাড়াতে চান না। ফলে, তাঁরা এগোতে পারেন না। ‘দুর্গাপুর স্কুল স্টুডেন্টস ভেহিক্যালস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসাসোয়িশন’-এর সভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘আমরা বৈঠকে ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলেছি। আমরা চাই শহরের উন্নয়নের সঙ্গে পুলকার পরিষেবাও আধুনিক হোক।’’ মহকুমাশাসক জানান, বৈঠকে উপস্থিত নানা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy