দেশের মধ্যে সেরা বর্ধমান। নিজস্ব চিত্র।
প্রথম কয়েক মাস পিছিয়ে পড়লেও আট মাসে মাথায় অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলাকে টেক্কা দিয়ে দেশের শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল পূর্ব বর্ধমান।
একশো দিনের কাজের মঙ্গলবারের রিপোর্ট অনুযায়ী এ জেলা ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৮৮টি পরিবারকে কাজ দিয়েছে। তাতে ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬০টি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৩৪ শ্রমদিবস তৈরি করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তার পিছনে রয়েছে প্রকাশম জেলা। তারা ২ কোটি ২০ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৫ শ্রমদিবস তৈরি করেছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে হুগলি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন, তিন মাস পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কাজকর্ম প্রায় বন্ধ ছিল। তার পরে বর্ষা ও পুজোর মধ্যেও কাজে ঘাটতি হয়েছে। সেই সুযোগেই এগিয়ে গিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের কয়েকটি জেলা। কিন্তু পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করতেই সবাইকে টপকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীর্ষে পৌঁছেছে পূর্ব বর্ধমান। রাজ্যে এই কাজের গড় ৫৪ দিন হলেও এ জেলায় ৬১।
আগামী ২৯ নভেম্বর দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন, বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইনে প্রকাশ্য সভা করার কথা তাঁর। তার আগে এই সাফল্য খুশি প্রশাসনের কর্তারা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘পিছিয়ে থেকেও আমরা ফের শীর্ষস্থানে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের এটা গর্বের।’’ জেলার সহ-সভাধিপতি দেবু টুডুর দাবি, ‘‘১০০ দিনের কাজে মূল লক্ষ্য মানুষকে কাজ দেওয়া। আমাদের জেলা সে দিকেই এগিয়ে চলেছে। বছর শেষেও শীর্ষে থাকার মতো পরিকল্পনা করে কাজ করা হচ্ছে।’’
কী ভাবে এল এই সাফল্য? জেলার একশো দিন প্রকল্পের নোডাল অফিসার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দাবি, পুজোর ছুটির মধ্যেও ১০০ দিনের কাজ চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। তার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে একশো দিনের কাজের সংযুক্তিকরণ ঘটানোর জন্যেই কাজের সুযোগ বেড়েছে। এ ছাড়াও কেঁচো সার তৈরির প্রকল্প থেকে গাছ লাগানোর কাজেও অনেক মানুষকে কাজ দেওয়া গিয়েছে। তাতেই সাফল্য এসেছে। শুধু তাই নয়, শ্রম বাজেটকেও টপকে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান।
বিরোধীরা অবশ্য জেলা প্রশাসনের দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি সিপিএমের উদয় সরকার বলেন, ‘‘গ্রাম-গঞ্জের মানুষ কাজের জন্য হাহাকার করছেন। প্রশাসনের এই দাবিই বলে দিচ্ছে, প্রকৃত শ্রমিকেরা কাজ পেয়েছেন কি না!’’ বিজেপির সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘সম্পত্তি তো দেখা যায় না, তবে একশো দিনের প্রকল্পের টাকায় রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড় করানো হয়েছিল, সেটা বোঝা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy