পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ‘অনাস্থা’ জানিয়ে বোর্ডের সভায় গরহাজির ছিলেন দলেরই আট কাউন্সিলর। সোমবার মেমারি পুরসভার ওই বৈঠকে ওই আট জনের সঙ্গে সিপিএমের দু’জন ও কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর গরহাজির ছিলেন।
পুরপ্রধান বিরোধী কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্যতম ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষ বাওয়ালের অভিযোগ, পুরপ্রধানের বিভিন্ন কাজে আপত্তি জানিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে তাঁরা দলীয় স্তরে চিঠি পাঠান। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে জেলা সভাপতি শনিবার বৈঠকও করেন। তারপরেও সমস্যা মেটানোর বদলে পুরপ্রধানের বিবৃতি তা বাড়িয়েছে। এই কারণেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকে তাঁরা পুরবোর্ড বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। ওই আট জনের মধ্যে রয়েছেন উপপুরপ্রধান সুপ্রিয় সমান্তও। যদিও তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ বলে পুরবোর্ডের সভায় যেতে পারেনি। বাকিরা কেন যায়নি বলতে পারব না।’’
মাস খানেক আগে ওই চিঠিতে ১২ দফা অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের ১০ কাউন্সিলর। কাউন্সিলরদের মর্যাদা থেকে ওয়ার্ডে কাজ করানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। পুরপরিষেবা নিয়ে নাগরিকদের হয়রানি, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের হিসেব না দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। যদিও এ দিন বোর্ডের সভায় ওই ১০ জনের মধ্যে ২জন হাজির ছিলেন বলে পুরসভা সূত্রে জানা যায়। পুরপ্রধান-বিরোধীরা ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, দলের বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষ অরূপ বিশ্বাসদের দেওয়া হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দলের পর্যবেক্ষকের নির্দেশে জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ শনিবার মেমারির কাউন্সিলরদের ডেকেছিলেন। সেখানে অবশ্য পুরপ্রধান গরহাজির ছিলেন। কাউন্সিলররা পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভের কথা জেলা সভাপতির কাছে জানিয়েছেন। স্বপনবাবু ওই কাউন্সিলরদের জানান, একটি বিস্তারিত রিপোর্ট করে পর্যবেক্ষক ও দলের হাতে তুলে দেওয়া হবে।