প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে থ বনে গিয়েছিল পরীক্ষার্থীরা। গতদিনের অর্থনীতির প্রশ্নপত্রের প্রথম দশটা প্রশ্নের সঙ্গে সোশিওলজির প্রশ্ন হুবহু এক। পরীক্ষার্থীরা উচ্চবাচ্য না করে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে গেলেও পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ওই পরীক্ষা বাতিল করে। আইনের স্নাতক স্তরের ওই পেপারের পরীক্ষা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি হবে বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি ওই প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে দুর্গাপুর, রাজবাঁধ ও বোলপুর পরীক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষরা পরীক্ষা নিয়ামক রাজীব মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানান। রাজীববাবু তাঁদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে বলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, খাতায়-কলমে অর্থনীতির প্রশ্ন সোশিওলজির প্রশ্নে ‘কপি-পেস্ট’ হয়েছে। কিন্তু তা পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের ধরার কথা নয়। কারণ নিয়ামক দফতরের প্রশ্ন দেখার এক্তিয়ারই নেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এত বড় গণ্ডগোলের পরেও রাজীববাবু পুরো বিষয়টি চেপে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাই সাহাকেও তিনি কিছু জানাননি। কিন্তু ওই দিন রাতেই বিশেষ সূত্রে খবর পান উপাচার্য। কেন এমন ঘটল সে ব্যাপারে এক অধ্যাপকের নেতৃত্বে চার জনের একটি তদন্ত দল গঠন করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি, প্রুফ দেখা থেকে ছাপতে দেওয়ার কাজ করেন বোর্ড অফ স্টাডিজের সদস্যরা। সেখানে বিভিন্ন দফতরের প্রধানেরা রয়েছেন। তদন্ত কমিটি দেখেছে, মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ছাপানো প্রশ্নপত্রের কোনও তফাত নেই। ফলে বুধবার সকালে ওই কমিটি পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করলে পরীক্ষা নিয়ামক তা কার্যকর করেন। তবে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। আইন বিভাগের প্রধান সঞ্জীব তিওয়ারি ‘বৈঠকে আছি’ বলে ফোন কেটে দেন। পরে বারবার ফোন করে কিংবা এসএমএস করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
কয়েকদিন আগেই প্রশ্নপত্র আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। কালনার মহকুমাশাসক তা ধরেছিলেন। এ দিন এসএফআইয়ের রাজ্য নেতা বিনোদ ঘোষ বলেন, “বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থাটাকেই হাস্যস্পদ করে তুলছে।” তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আমিনুজ মণ্ডলেরও দাবি, “একের পর এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy