Advertisement
E-Paper

রামপুরহাটে শহিদ জওয়ানের পরিবার

উরির সেনা ঘাঁটিতে শহিদ হয়েছেন তাঁদের সন্তান। হাওড়ার নিহত বাঙালি জওয়ান গঙ্গাধর দলুইয়ের সেই পরিবারকে পুজো মণ্ডপে এনে কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করল রামপুরহাটের একটি পুজো কমিটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২৮
শহিদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা। রামপুরহাটে তোলা নিজস্ব চিত্র।

শহিদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা। রামপুরহাটে তোলা নিজস্ব চিত্র।

উরির সেনা ঘাঁটিতে শহিদ হয়েছেন তাঁদের সন্তান। হাওড়ার নিহত বাঙালি জওয়ান গঙ্গাধর দলুইয়ের সেই পরিবারকে পুজো মণ্ডপে এনে কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করল রামপুরহাটের একটি পুজো কমিটি।

শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ প্রথমে জওয়ানের বাবা ওঙ্কারনাথ দলুই এবং ভাই বরুণকে একটি হুড খোলা জিপে চাপিয়ে মণ্ডপ থেকে পদযাত্রা বের করে আয়োজক পূর্ব নিশ্চিন্তপুর সর্বজনীন। জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। জিপের আগে ছিল সংস্থার একটি শববাহী গাড়ি। গাড়ির দু’দিকে গঙ্গাধরের প্রতিকৃতি টাঙানো হয়। প্রতীকী ভাবে ফুল ছেটানো হয় কাঁচঘরের ভিতরে থাকা স্ট্রেচারে। গাড়ির আগে স্কাউটদের মার্চ। তাদের মার্চের তালে তালে এগিয়ে চলে পদযাত্রা। সন্ধ্যায় পুজো মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘গার্ড অফ অনারে’র মাধ্যমে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয়। ওঙ্কারনাথবাবু বলেন, ‘‘দেশ রক্ষা করতে গিয়ে ছেলে শহিদ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু ছেলে চলে গেলেও সারা ভারত যে আমাদের পাশে আছে, তা বুঝতে পারছি।’’

এ দিন ওই পুজো কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে হাওড়ার জগতবল্লভপুর থানার যমুনাবালিয়া গ্রাম থেকে এসেছিলেন নিহত জওয়ানের পড়শি সেনাবাহিনীর এক সেপাই অভিজিৎ মান্নাও। অভিজিৎ এখন কর্মসূত্রে দার্জিলিং রেজিমেন্টে আছেন। দার্জিলিংয়ের সেনা ছাউনিতে ডিউটি করার সময় জানতে পারেন জঙ্গি হামলায় বন্ধু গঙ্গাধর শহিদ হয়েছে। রামপুরহাটে এসেছিলেন গঙ্গাধরের প্রাইভেট টিউটর সুখেন মাইতি, পাড়ার বন্ধু বাপি দলুই, বিজয় মল্লিকরাও। প্রত্যেকেই বললেন, ‘‘পাড়ার ছেলে হিসাবে নয়, গঙ্গাধরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশবাসী হিসাবে আমরা এখানে এসেছি।’’ উদ্যোক্তাদের পক্ষে কৌশিক আইচ জানান, শহিদের পরিবারের পাশে শুধু একা তাঁরাই নন, গোটা দেশ আছে। সেই শহিদদের প্রতি ‘স্যালুট’ জানাতেই এই পরিকল্পনা। পরে আশিস বলেন, ‘‘এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশাত্মবোধের পরিচয় দিল রামপুরহাটের ওই ক্লাব।’’

family
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy