থেমে গেল গাড়ি। যানজট রাস্তায়। পরকীয়া ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরে। স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে বেধড়ক মারধর করলেন স্বামী। পাল্টা হাত চালালেন প্রহৃত ‘প্রেমিক।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রেমিকের সঙ্গে চারচাকা গাড়িতে চড়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গুসকরার এক বধূর। তিনি আবার ওই এলাকার প্রাক্তন পুরমাতাও। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, এমন সন্দেহ আগে থেকেই ছিল তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামীর। তাই তক্কে তক্কে ছিলেন তিনি।
শুক্রবার স্ত্রী এবং তাঁর ‘প্রেমিক’কে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। অভিযোগ, তার পর দু’জনকেই বেদম প্রহার করেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ গুসকরা শহরের বাগদিপাড়ার চাঞ্চল্য ছড়ায়। জড়ো হয়ে যান লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বছর আটেক আগে বিয়ে হয়েছে। দম্পতির ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সেই প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামির দাবি, মেমারি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী। তিনি সে কথা আগেই জানতেন। এ নিয়ে স্ত্রীকে ‘সতর্ক’ করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। শুক্রবার ওই যুবকের সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর কোথাও বেড়াতে যাবেন বলে তৈরি হয়েছিলেন। কোনও সূত্র মারফত সেই খবর পেয়ে তাঁদের চারচাকা গাড়ির সামনে হাজির হন প্রাক্তন পুরমাতার স্বামী। অভিযোগ, এর পর গাড়ি থেকে বার করে এনে স্ত্রী এবং তাঁর ‘প্রেমিক’কে মারধর শুরু করেন ওই যুবক। রাস্তার উপর ওই কাণ্ড দেখতে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যান। কেউ কেউ ছাড়াতে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ স্বামী-স্ত্রীকে আলোচনায় বসে মিটমাট করার প্রস্তাব দেন। তবে বধূ দাবি করেন, তিনি আর স্বামীর সঙ্গে থাকবেন না। কোলাহল বাড়ে। পুলিশ আসে। শেষমেশ স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় প্রেমিককে বাড়ি চলে যান। অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও পক্ষই তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তাই পরিস্থিতি সামলে বাহিনী থানায় চলে গিয়েছে।