Advertisement
E-Paper

পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু

এক প্রাক্তন কাউন্সিলর মল্লিকা চোংদারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি,, ‘‘পুলিশের তাড়া খেয়ে ওই যুবক জলে ঝাঁপ দেন। পুলিশ মারধর করেছে বলেও শুনেছি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০০:১৫
পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ এলাকাবাসীর। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ এলাকাবাসীর। নিজস্ব চিত্র।

জুয়ার ঠেকে হানা দিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, সে সময় পালাতে গিয়ে জলে ঝাঁপ দেন এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে দেহ মিলেছে গুসকরা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধারাপাড়ার অনির্বাণ মণ্ডলের (৩৩)। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, পুলিশের মারের হাত থেকে বাঁচতেই জলে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। যদিও পুলিশ দাবি মানেনি। জেলার ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) অভিজিৎ পালচৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশ জুয়ার ঠেকে হানা দিয়েছিল। তবে কাউকে না পেয়েই ফিরে আসে। কাউকে তাড়া করা বা মারধর করার ঘটনা ঘটেনি।’’ মৃতের পরিবার অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধারাপাড়ার একটা পরিত্যক্ত মিলের ভিতর সোমবার রাতে নয়-দশ জন জুয়ার আসর বসিয়েছিল। পুলিশ হানা দিতেই কয়েকজন পালায়। অভিযোগ, অনির্বাণ-সহ চার জন পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল প্রাক্তন কাউন্সিলর জগা তুড়ির দাবি, ‘‘ওই যুবকের খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার পরিবারের লোকেদের নিয়ে গুসকরা ফাঁড়িতে যাওয়া হয়। পুলিশ কিছু বলতে না পারায় পাড়ার কয়েকজন ওই পুকুরে নেমে তল্লাশি চালান। তখনই দেহ মেলে।’’ আর এক প্রাক্তন কাউন্সিলর মল্লিকা চোংদারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি,, ‘‘পুলিশের তাড়া খেয়ে ওই যুবক জলে ঝাঁপ দেন। পুলিশ মারধর করেছে বলেও শুনেছি।’’

দেহ মেলার পরে আউশগ্রাম থানার বিরাট পুলিশবাহিনি এলাকায় যায়। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Drowning Guskara Police chase
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy