প্রতীকী ছবি।
আগের দিনই জানা গিয়েছিল গুসকরা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া ‘নীল তিমি’ খেলার খপ্পরে পড়েছেন। কালনাতেও নবম শ্রেণির এক ছাত্রের সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে নীল তিমি খেলার খবর সামনে আসে। সাইবার ক্যাফেগুলির গতিবিধি, নজরদারির অভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকেরা। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালনার সাইবার ক্যাফে মালিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। জানিয়ে দেওয়া হয়, স্কুল চলাকালীন কোনও ছাত্রছাত্রীকে সাইবার ক্যাফেতে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। অন্য সময় এলে তাদের পরিচয় পত্র দিতে হবে। নাবালক হলে বাবার পরিচয়পত্র নেওয়ার কথাও বলা হয়।
প্রশ্ন ওঠে ক্যাফেগুলির রেজিস্ট্রেশন নিয়েও। ওই মালিকেরা জানান, ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই তাঁদের। এরপরেই মহকুমা প্রশাসনের তরফে প্রত্যেককে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফর্ম দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘সাত দিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন করার কথা বলা হয়েছে।’’ এ দিন স্কুলগুলিকেও ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহার না করায় নজর দিতে বলা হয়। আগামী দিনেও পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারের আশ্বাস দেওয়া হয়। এ দিন কৃষ্ণদেবপুরের ওই পড়ুয়ারও খোঁজ নেন মহকুমাশাসক।
গুসকরা কলেজেও এ দিন সেমিনার করে অধ্যক্ষ ও অন্য শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের ব্লু হোয়েল খেলা নিয়ে সচেতন করেন। ব্লু হোয়েল নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হয়। বাস্তব জীবনে অসম্ভব এমন যে কোনও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয় পড়ুয়াদের। স্মার্টফোন ব্যবহারেও সচেতন হতে বলা হয়। স্বপনবাবু বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সেমিনার করা ছাড়াও প্রতিটি ক্লাসে পড়ানোর আগে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই এ ধরনের সভা করার জন্যও বিভাগীয় প্রধানদের বলা হয়েছে।’’
ছাত্র সংসদ থেকেও প্রতিটি পড়ুয়ার দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক দেবাশিস মণ্ডল। তিনি জানান, ‘নীল তিমি’ খেলায় আসক্ত ছাত্রটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। তিনি অনেকটাই অবসাদ কাটিয়ে উঠেছেন। পুলিশের তরফেও ওই পরিবাটির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ দিন খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy