Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রদর্শনী সারা বছর, ভাবনা মাটিতীর্থে

মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপবাবু জানান, ‘‘আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রতিটি দফতরকে তাদের কর্মসূচি জমা দিতে বলা হয়েছে। তা পেলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা জমা দেব। তার পরেই এই কর্মকাণ্ড চূড়ান্ত করা হবে।’’

ভরসা জোগাচ্ছে এই ভিড়। নিজস্ব চিত্র

ভরসা জোগাচ্ছে এই ভিড়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৬
Share: Save:

মাটিতীর্থের এলাকা সারা বছর কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, সোমবার সে নিয়ে বৈঠক করলেন মন্ত্রী ও আধিকারিকেরা। গত বছর মাটিমেলার উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মাটিতীর্থ কৃষিকথার এই ২৫ একর জায়গা সারা বছর ব্যবহার করতে হবে। তা কার্যকর করতেই এ দিনের এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন মাটি উৎসব চত্বর লাগোয়া সভাকক্ষে আয়োজিত এই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা ও কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা।

মাটি উৎসব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এই এলাকা কার্যত খালি পড়ে থাকে। মন্ত্রী আশিসবাবু বলেন, ‘‘বৈঠকে মন্ত্রী স্বপনবাবু সপ্তাহে দু’দিন করে এই মাটিতীর্থে ‘জীবন্ত প্রদর্শনী ক্ষেত্র’ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী, এখানে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন গ্রামের মতো হাট বসানো হবে। সেখানে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাষিরা তাঁদের ফসল এনে বিক্রি করতে পারবেন।’’ উদাহরণ হিসেবে আশিসবাবু জানান, সাহেবগঞ্জ বাজারে ক্রেতা যে চাল খুঁজছেন তা হয়তো পাচ্ছেন না। মাটিতীর্থ তাঁকে সেই চাল কেনার সুযোগ দেবে। চাষিও সেই চালের উপযুক্ত ক্রেতা খুঁজে পাবেন। শুধু কৃষি নয়, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, বস্ত্র ইত্যাদি দফতরও এখানে নিজেদের উৎপাদিত জিনিস বিক্রি করতে পারবেন বলে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া সারা বছর মাটিতীর্থে চলবে কৃষকদের নানা বিষয়ের প্রশিক্ষণ।

মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপবাবু জানান, ‘‘আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রতিটি দফতরকে তাদের কর্মসূচি জমা দিতে বলা হয়েছে। তা পেলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা জমা দেব। তার পরেই এই কর্মকাণ্ড চূড়ান্ত করা হবে।’’ কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘শনি ও রবিবার হাট বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত কৃষি খামারের উৎপাদিত ফসল, আমাদের দফতরের তৈরি বিভিন্ন ফসল, বস্ত্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প-সহ নানা দফতরের জিনিস এই প্রদর্শনী ক্ষেত্র থেকে বিক্রি করা হবে।’’ আশিসবাবুর আশা, ফেব্রুয়ারি থেকেই এই কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে যাবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মাটিতীর্থ কৃষিকথার পাশে কিসানমান্ডিতে কোয়েল পাখির ডিম, মাংস এবং বিভিন্ন প্রজাতির চাল নিয়ে প্রদর্শনী করা হবে। সেই প্রদর্শনী সফল হলে সেগুলিকেও মাটিতীর্থে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে বলে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE