এখন থেকে আর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আতঙ্কের পরিবেশ থাকবে না। এমন অভয়বাণীই শোনাল সেখানকার ‘গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটি’।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্যেরা। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম, হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ-সহ মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা। বৈঠক শেষে গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্য চিকিৎসক সৌরভ দত্ত জানান, পরীক্ষা-সহ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। সুষ্ঠ সমাধানও হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু বিষয় জানানো হবে। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকের পর থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আর আতঙ্কের পরিবেশ থাকবে না।’’
যাঁদের ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে তাঁদের যাতে কোনও ভাবেই আর কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে না-দেওয়া হয়, সেই দাবি জানানো হয়েছিল আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের তরফে। চিকিৎসক পড়ুয়া গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমরা কলেজে সুষ্ঠু পরিবেশ চাইছি। অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনলে আবার কলেজে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গল ও বুধবার উত্তপ্ত হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি মেডিক্যাল কলেজে বৈঠক ডেকেছিল ‘গ্রিভেন্স রিড্রেসাল কমিটি’।