Advertisement
E-Paper

নতুন সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ কাঁকসায়

লরি চালক সমিতিতে নতুন সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাধল কাঁকসায়। কার্যালয়ে চড়াও হয়ে কিছু বহিরাগত লোকজন সদস্যদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ সমিতির কর্তাদের। অন্য পক্ষের পাল্টা অভিযোগ, কমিটি ভেঙে নতুন করে তৈরির দাবি তোলায় বাইরে থেকে লোকজন ডেকে মারধর করা হয়েছে তাদের। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ০০:৩৬

লরি চালক সমিতিতে নতুন সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাধল কাঁকসায়। কার্যালয়ে চড়াও হয়ে কিছু বহিরাগত লোকজন সদস্যদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ সমিতির কর্তাদের। অন্য পক্ষের পাল্টা অভিযোগ, কমিটি ভেঙে নতুন করে তৈরির দাবি তোলায় বাইরে থেকে লোকজন ডেকে মারধর করা হয়েছে তাদের। দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেছে।

কাঁকসা লরি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে জনা কয়েক বহিরাগত সদস্যপদের দাবি জানাচ্ছেন। এই দাবিতে বেশ কয়েক বার লরি আটকে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। অথচ, তাঁদের নিজস্ব লরি নেই। সমিতির সম্পাদক এসপি প্রধান দাবি করেন, তাঁরা ওই লোকজনকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা শুনতে চাননি। এ নিয়ে রবিবার বিকেলে সমিতির কার্যালয়ে একটি বেঠক ডাকা হয়। সেখানে ১২৪ জন সদস্য হাজির হন।

লরি মালিক সমিতির অভিযোগ, বৈঠক শেষ হতে না হতেই বহিরাগত কয়েক জন কার্যালয়ে ঢুকে সদস্যপদের দাবি জানাতে থাকেন। সে নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। তার পরেই ওই বহিরাগতেরা তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এতে সমিতির বেশ কয়েক জন আহত হন জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই সমিতিরই সদস্য, লরি মালিক বিদ্যুৎ মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ করেন, এলাকার কিছু যুবক তাঁদের সমিতির সদস্য হতে চান। তা তাঁরা অনেক বারই জানিয়েছেন। ওই কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে নানা সময়ে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছিল না। এ দিন বৈঠকে সে নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বেশ কিছু বহিরাগত এসে হামলা করে। তাতে তিনিও আহত হন বলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লরি মালিক সমিতির ক্ষমতা দখল নিয়ে আগেও বেশ কয়েক বার ঝামেলায় জড়িয়েছে শাসক দলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠী। যদিও এই ঘটনায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য দেবদাস বক্সী। তাঁর দাবি, এই কমিটিতে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে। তা ভেঙে নতুন কমিটি তৈরির কথা অনেক দিন আগেই হয়েছিল। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জানান, নতুন সদস্য নেওয়া হলে এলাকার কিছু যুবক উপার্জন করতে পারবে। কিন্তু তা নিয়ম মোতাবেক করতে হবে, গায়ের জোরে নয়। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরাই নেবেন।’’ পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত চলছে।

Kanksha Bardhaman Group clash police Trinamool
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy