Advertisement
২০ মে ২০২৪
দুর্গাডাঙা

তৃণমূলের দ্বন্দ্বে অ্যাসিড ছোড়ার নালিশ

এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ১ ব্লকের দুর্গাডাঙা গ্রামের সেতুর কাছে। ধরণীধর সোম নামে ওই ব্যবসায়ী বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিও হন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৫ ০১:৩৩
Share: Save:

এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ১ ব্লকের দুর্গাডাঙা গ্রামের সেতুর কাছে।

ধরণীধর সোম নামে ওই ব্যবসায়ী বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিও হন তিনি। শনিবার বিকেলে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি বর্ধমানে জেলা পরিষদের অঙ্গীকার হলে তৃণমূলের বৈঠক শেষে জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথের কাছে অভিযোগ করেন, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর উপরে অ্যাসিড-হামলা হয়েছে। স্বপনবাবু তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। এই ঘটনায় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বাবন মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এ দিন জেলা সভাধিপতির ঘরে বর্ধমান ১ ব্লকের সভানেত্রী কাকলি গুপ্ত ও জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসানকে নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন স্বপনবাবু। সেখানে তিনি দুই নেতানেত্রীকে জানিয়ে দেন, কোনও রকম দ্বন্দ্ব রাখলে চলবে না। নিজেরা বসে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে। তা না হলে দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, বৈঠকে বর্ধমানের কাউন্সিলরদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। কাউন্সিলরদের একাংশের ক্ষোভ, পুরসভায় প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা জানতে পারেন না। সভাধিপতি দেবু টুডুও জানান, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলের মধ্যে আলোচনা করা দরকার। তা না হলে এই রকম ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়তে থাকবে। বৈঠক চলাকালীন পুরসভার বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর হল ছেড়ে চলেও যান বলে জানা গিয়েছে। যদিও স্বপনবাবু কোনও গোলমালের কথা মানতে চাননি।

বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই স্বপনববাবুর সঙ্গে দেখা করেন ধরণীধরবাবু। চোখে-মুখে পোড়া দাগ দেখিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “দলেরই ছত্রছায়ায় থাকা কিছু দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে অ্যাসিড ছুড়ে আমার এই দশা করেছে।” স্বপনবাবু তাঁকে থানায় অভিযোগ করতে বলেন। ধরণীধরবাবু বর্ধমান থানায় দু’জনের নামে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কুলগোড়িয়া মোড়ে ওষুধের দোকান বন্ধ করে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। দুর্গাডাঙা সেতু পেরোনোর পরে রাস্তার ধারে ঝোপঝাড় থেকে তাঁকে লক্ষ করে অ্যাসিড ছোড়া হয়। তিনি চিৎকার করতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা তোতন সোমের অভিযোগ, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অনুপ মণ্ডলের লোক। আমাদের গ্রামে পঞ্চায়েত থেকে আইএসজিপি প্রকল্পে একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। তাতে দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার জন্যই এই কাণ্ড ঘটানো হল। এর পরে আবার ওরাই মোটরবাইক মিছিল বের করেছিল।” যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অনুপবাবু। তাঁর দাবি, তিনি এ রকম ঘটনার কথা শোনেননি। অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম বলা হচ্ছে, তাদেরও চেনেন না বলে দাবি করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman Group clash Trinamool dutrgdanga
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE